মডেল মিথিলার ‘আত্মহত্যা’, সুইসাইড নোট ধরে পরিবারের মামলা

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::আলোচিত মডেল জ্যাকুলিন মিথিলার ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় মামলা করেছে তার বাবা স্বপন শীল। মামলায় মিথিলার নাম জয়া শীল হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের বাড়িতে তিনি মধ্যরাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। যদিও শুরুতে আত্মহত্যার বিষয়টি শুরুতে গণমাধ্যমে আসেনি। চট্টগ্রাম বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম জানিয়েছেন জয়া শীল নামে এক তরুণী ৩ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেছিলেন। এ ঘটনায় তার বাবা স্বপন শীল বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলা তদন্ত চলছে।মামলায় মিথিলার স্বামী উৎপল রায় ও তার পরিবারের সাত সদস্যকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে জ্যাকুলিন মিথিলার বাবা স্বপন শীল বলেন, ১০-১২ দিন আগে আমার মেয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরের বারিক বিল্ডিংয় এলাকায় আমার বাসায় আসে। বাসায় এসে সে আমাকে ফটিকছড়ির ধুরম গ্রামের উৎপল রায় নামের এক তরুণের সঙ্গে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে তার বিয়ে হয়েছে বলে জানায়।

সে আরও জানায়, উৎপলের পরিবার তার বিয়ের বিষয়টি মেনে নেয়নি এবং তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাকে নানাভাবে ফোন করে হুমকি-অপমান করতে থাকে। তারা আমার মেয়েকে আরও বলে, ‘কত টাকা লাগবে নিয়ে যাও, তবুও আমাদের উৎপলকে ছেড়ে দাও।’ পরে এ অপমান সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার সকালের দিকে আমার বাসায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করে সে।

উল্লেখ্য, মিথিলার স্বামী উৎপল চট্টগ্রামে কৃষি-বিভাগে চাকুরী করে। মিডিয়া আসা নিয়ে ঝামেলা হতে পারে ভেবে জ্যাকুলিন সমঝোতায় ছাড়াছাড়ি করতে চেয়েছিল, কিন্তু ওর স্বামী তাকে মিডিয়ায় কাজ করতে উৎসাহিত করে বলে দাবি করলেন স্বপন শীল। এমনকি মিথিলার কাছ থেকে টাকা-পয়সাও নিয়েছে বলে দাবি করলেন মিথিলার বাবা।

মৃত্যুর আগে দুই পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন মিথিলা, সেখানে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো বলে জানান তার বাবা। আর এই ব্যক্তিদের মধ্যে আটজনের নামে মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জ্যাকুলিন মিথিলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের খোলামেলা ছবিতে বেশি পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সময় তার এসব ছবি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ফেসবুক লাইভেও বরাবরই রাখঢাকহীন কথাবার্তা ও খোলামেলা পোজে হাজির হন জ্যাকুলিন মিথিলা।
‘এ ঘটনায় একই দিন (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দর থানায় তার স্বামী উৎপল রায় ও তার মা মিনাক্ষী মহাজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’ বললেন বাবা।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএম মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘জয়া শীল নামে এক তরুণী ৩ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেছিলেন। এ ঘটনায় তার বাবা স্বপন শীল বাদি হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলা তদন্ত চলছে।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.