খেলাধুলা : বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলা দলের অধিনায়ক ফিলিপ লাম। ২০১৬-১৭ মৌসুম শেষেই পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। আগামী জুনেই ফুটবলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডারের। তবে তার আগে বায়ার্নের টানা পঞ্চম জার্মান লীগ শিরোপা সাক্ষ্মী হতে মুখিয়ে আছেন ৩৩ বছর বয়সী এই জার্মান তারকা। তবে ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ শিরোপাকে এখনো সেরার আসনে আসীন করে রেখেছেন লাম। ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল জার্মানী।
এই ক্লাবের হয়ে মঙ্গলবার তিনি ৫০১তম ম্যাচ খেলেছেন। মাঝে অবশ্য দুই মৌসুমের জন্য ধারে স্টুটগার্টে খেলেছেন। বায়ার্নের সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা লাম সম্পর্কে এক সময় বলেছিলেন, আমার দেখা মতে বিশ্বের অন্যতম চৌকষ ফুটবলার সে। মাঝে মাঝেই তাকে রাইট ব্যাক থেকে মধ্যমাঠে নিয়ে আসতে গার্দিওলা। সে কারনেই তার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘লাম যেকোন জায়গায় খেলতে পারে। আমি যদি বলি তবে সে আমার দলের স্ট্রাইকার হতেও রাজী আছে।
এক দশকে জার্মানীর হয়ে ১১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন লাম। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি বায়ার্নে যোগ দেন। ওই সময় নিজেকে এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেই পরিচিত করেছিলেন। ২০১৪ সালের মাঠে হার্থা বার্লিনের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে লামের অসাধারণ নৈপুন্য এখনো কেউ ভুলেনি। এই জয়ের ফলে ২০১৩-১৪ মৌসুমে জার্মান লীগের শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে বায়ার্ন। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মিডফিল্ডার হিসেবে লাম খেলা শুরু করেন। কিন্তু জার্মান কোচ জোয়াকিম লো দ্রুতই তাকে আবারো লেফট ব্যাক পজিশনে নিয়ে আসেন।
জার্মানীর হয়ে লাম পাঁচটি গোল করেছেন। কিন্তু ২০০৮ সালের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে সেমিফাইনালে তুরষ্কের বিপক্ষে ৯০ মিনিটে তার দেয়া গোলে জার্মানদেও জয়টিকে এখনো সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচ হিসেবে ধরে রেখেছেন লাম।
বায়ার্নের হয়ে লাম সাতটি বুন্দেসলিগা শিরোপা, ৬টি জার্মান কাপ, তিনটি জার্মান সুপার কাপ ও একটি চ্যাম্পিয়নস লীগ, ইউরোপীয়ান সুপার লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ডাচ মিডফিল্ডার মার্ক ভ্যান বোমেলের কাছ থেকে তিনি বায়ার্নের অধিনায়কত্ব লাভ করেন।