৩৪ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের

0
সিটিনিউজ ডেস্ক::দেশের ২০টি কোম্পানি সকল ধরণের ওষুধ উৎপাদন বন্ধই থাকছে। মানসম্মত ওষুধ উৎপন্ন না করায় এ সকল কোম্পানির লাইসেন্সও বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১৪টি কোম্পানির সকল ধরণের এন্টিবায়োটিক উৎপাদনও বন্ধ থাকবে বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের ডিভিশন বেঞ্চ আজ সোমবার এই রায় দেন।
রায়ে আদালত ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়। এই সব ওষুধ কোম্পানি জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচার প্রাক্টিসেস) নীতিমালা অনুসরণ করে ওষুধ উৎপাদন করছে কিনা, সে বিষয়টি এ কমিটিকে দেখভাল করতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান হবেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন প্রতিনিধি।
৩৪টি ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে রিট আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রায় ঘোষণার কথা ছিল হাইকোর্টের। কিন্তু কোর্ট তা পরিবর্তন করে পুনরায় রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
গত বছর ৭ জুন হাইকোর্ট ২০টি ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স কেন স্থায়ীভাবে বাতিল এবং ১৪টি কোম্পানির সব ধরনের এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে করা এক আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করে। রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং কোম্পানিগুলোর পক্ষে আইনজীবী মওদুদ আহমদ, হাবিবুল ইসলাম ভুইয়া, এজে মোহাম্মদ আলী, তানজীব-উল আলম, একেএম বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ শুনানি করেন। আট কার্যদিবস ধরে এই রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২১ এপ্রিল ‘জীবন রক্ষাকারী ওষুধে ভেজাল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ২০টি ওষুধ কোম্পানির ওষুধে ভেজাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এসব ওষুধ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন ও লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেনি সরকার।
এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.