সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি::পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হতে গিয়ে এক সন্দিগ্ধ রাজাকার আটক হয়েছেন। তার নাম আকতার মিয়া। তিনি উপজেলার খরনা ইউনিয়নে মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র। এসময় অপর এক সন্দিগ্ধ রাজাকার ইসহাক মিয়া পালিয়ে যায় বলে সূত্রে প্রকাশ।
জানা যায়, পটিয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। গত বুধবার খরনার মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাতকারের দিন ছিল। এতে দুপুর সাড়ে ১২ টায় খরনার আকতার মিয়া পীং- নুর আহমদ তার অন লাইনে প্রদত্ত আবেদনের স্বপক্ষে হাজির হন। এতে তিনি ৩ জন স্বাক্ষীর নাম দেন। তারা হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক বিল্লাহ, নুরুল আবছার ও আবদুল গফুর। সাক্ষাতকারের পূর্বে স্বাক্ষী নুরুল আবছার ব্যতিত আর কেউ উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কমিটি সন্দিহান হয়। কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, সদস্য আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, বদিউজ্জমান, আহমদ নবী, মহিউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এই লোক রাজাকার ছিলেন। আমাদের মনে হয়, নাশকতা সৃষ্টির জন্যই তিনি এখানে এসেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ কর্তৃক ধৃত আকতার মিয়া বলেন, আমি যুদ্ধকালীন আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শে খবর সংগ্রহ করার জন্য রাজাকারদের দলে যোগ দেই। ৩দিন পর আমার তথ্যের ভিত্তিতে খরনা ষ্টেশনের রাজাকার ঘাটিতে মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন করে। সে সময়ে সেখান থেকে ৮টি অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের দখলে নেয়।
পরে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা তাদের আবেদনে যে স্বাক্ষী হিসেবে আমার নাম দিয়েছে তা আমাকে জানাইনি। তবে আমরা যুদ্ধ চলাকালীন কৌশলে রাজাকার ঘাটিতে হামলা চালাতে তাদেরকে রাজাকারদের দলে পাঠিয়েছিলাম এবং তাদের তথ্য মতে অপারেশন করেছিলাম। পটিয়া থানার এস আই আলমাস হোসেন বলেন, বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।