ভূমি অফিসে দালালমুক্ত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ

0

বশির আলমামুন,চকরিয়া : চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করার ঘোষনা দিয়েছেন চকরিয়ায় সদ্য যোগ দেয়া সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ দিদারুল আলম । তিনি চকরিয়া ভূমি অফিসে যোগ দেয়ার পর উপজেলা ভূমি অফিসসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সমূহকে দালালমুক্ত করার জন্য তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহন করার পর ভূমি অফিসের ভেতর অবাদে বিচরণ করা চিহ্নিত সকল দালালদের বের করে দেন এবং অফিস স্টাফদের হুশিয়ার করে বলেন দালালরা যাতে অফিসের ভেতর ঢুকতে না পারে।

এছাড়াও তিনি ‘দালাল থেকে দুরে থাকুন, নিজের কাজ নিজে করুন’ এ সব কথা বড় বড় অক্ষরে ভূমি অফিসের গেইটের পাশের দেয়ালে লিখায়ে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করান। তিনি ভূমি অফিসের দেয়ালে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন স্লোগানও লিখে দিয়েছেন। যেমন: আপনার ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত পরিশোধ করুন, জমি কেনার পর মিউটেশন, জটিলতা হবে নিরসন ইত্যাদি। সেবা প্রত্যাশীরা এসে যাতে দালালের খপ্পরে না পড়ে এবং ভূমি অফিসের স্টাফদের চিনতে পারে সেজন্য উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সকল স্টাফদের জন্য পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা করেছেন। সোমবার(২৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সকল স্টাফদের হাতে নিজ নিজ পরিচয়পত্র তুলে দেন তিনি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিন, ভূমি অফিসের কানুনগো শান্তি জীবন চাকমা, নাজির তপন কান্তি পাল, চিরিংগা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদ, চকরিয়া রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি বশির আলমামুন, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন, কাকারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ ইছমত আলী, হারবাং ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা নুর ছোবহান এবং ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ দিদারুল আলম বলেন, সেবা গ্রহীতারা ভূমি অফিসে আসলে যাতে দালালদের খপ্পরে না পড়ে সে জন্য স্টাফদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। তারা স্টাফ কে তা না চিনে দালালের খপ্পরে পড়ে মোটা অংকের টাকায় ভূমি বিষয়ক সেবা নিয়ে থাকে। যে কারণে মানুষের মনে ভূমি অফিস সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা জন্মনিয়েছে। তাই আমি প্রথমেই আমার অফিসকে দালালমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এজন্য সকল স্টাফদের পরিচয় পত্র দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সেবা প্রত্যাশীরা যাতে সেবা নিতে এসে হয়রানী ও দুর্নীতির শিকার না হয় সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এজন্য টিআইবি ভূমি অফিসকে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদানে সম্মত হয়েছে। সাধারণ মানুষ সেবা নিতে এসে সরাসরি সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর সাথে যাতে দেখা করতে পারে তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিছুদিন পর পর গণশুনানী করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

সনাক সভাপতি ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এমাস থেকে টিআইবি’র সহায়তায় সনাক চকরিয়া ভূমি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে সহকারি কমিশনার (ভূমি) তার অফিসকে দালালমুক্ত করতে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। চকরিয়া ভূমি অফিসের হয়রানীর কথা বহুদিনের। নতুন এসি ল্যান্ডের নেতৃত্ব ভূমি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.