হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ

0

এম. রমজান আলী, রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজানে হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ। এখানে প্রতিনিয়ত দলবদ্ধ হিজরার অনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কখনো বাজারের দোকানে দোকানে গিয়ে, কখনো গাড়ী আটকিয়ে আবার কখনো কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে চাঁদাবাজি করছে তারা। ব্যবাসায়ী, সাধারণ মানুষ কেউ রেহায় পাচ্ছে না চাঁদাবাজ হিজরাদের কাছ থেকে।

চাঁদার জন্য তারা চিৎকার-চেঁচামেচি, অশ্লী অঙ্গভঙ্গি ও ভিস্তি খেউর করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। প্রয়োজনে তাদের কেউ কেউ বিবস্ত্র হয় এবং কৌশলে টার্গেটকে নাকাল করে টাকা নিয়ে যায়। শুক্রবার(২৪ ফেব্রুয়ারী) একদল হিজরা রাউজানে ব্যাপক চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়। উপজেলার বিভিন্নস্থানে দু-তিন জন করে চাঁদাবাজি করে। বাজারের বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে তারা চাঁদা দাবি করে। এবং দিতে বাধ্য করা হয়।

উপজেলার এম. জে স্কোয়ার ও তাজমহল নামের দুটি কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে বড়পক্ষ ও কনের পক্ষের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এম.জে স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত বিয়ের বর টাকা প্রদানে অপত্তি প্রকাশ করলে অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ করে তারা। এক পর্যায়ে স্টেইজে উঠে পরে। বর স্টেইজ থেকে নেমে যেতে বাধ্য হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি, অশ্লী অঙ্গভঙ্গি ও ভিস্তি খেউর করা হয়। পরে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ এসে উত্তেজনা কর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ হিজড়াদের সাথে সমোঝতার মাধ্যমে টাকা দিলে তারা কমিউনিটি সেন্টার ত্যাগ করে অন্যত্রে গিয়ে চাঁদাবাজি করে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এখানে তারা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। চাহিদামত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে চিৎকার-চেঁচামেচি, অশ্লী অঙ্গভঙ্গি ও ভিস্তি খেউর করে ইজ্জতহানীর হুমকি দেয়া হয়।

আরো অভিযোগ রয়েছে বাজারে ঢুকে দোকানদারের কাছ থেকে হিজড়ারা নিজের ইচ্ছামত চাঁদার টাকা চাইলে তা দিতে অসমর্থ হলে দোকান থেকে মালামাল নিয়ে চলে যায়। ভুক্তভোগী বিভিন্ন ব্যক্তি আরো বেশি উত্ত্যক্ত হওয়ার ভয়ে নিরবে হিজড়াদের এইসব চাঁদাবাজি মুখ বুঝে সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছেন এখানকার মানুষ। হিজরাদের চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এছাড়া তাদের তা ছাড়া তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য অধিকারের বিষয়ে প্রধান্য দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.