পটিয়া পৌরসভার রাজস্ব বন্ধ করার পাঁয়তারা!

পটিয়া প্রতিনিধি::প্রথম শ্রেণীর চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার রাজস্ব বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। পৌরসভার বাজার উচ্ছেদ করতে একটি মহল বেশ কিছুদিন ধরে তৎপর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন।

সোমবার (৬ মার্চ) উচ্চ আদালতের নির্দেশে পটিয়া ভুমি অফিসের কানুনগো এম,এ ছাত্তার খাঁন, ভুমি সহকারী (পটিয়া সদর) মোঃ শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাস্টার, সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার রূপক কুমার সেন, গোফরান রানা, আবু ছৈয়দ, খোরশেদ গণি, শফিউল আলম, আবদুল খালেক, সাইফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন বেলাল।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে বিভিন্ন ব্যক্তির দানকৃত ৮ টি দলিলের মাধ্যমে ৬০ শতক জায়গার উপর বাজারটি প্রতিষ্ঠত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনো পর্যন্ত পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ইজারা প্রদান করে যাচ্ছে। চলতি বছরে উক্ত বাজারটি ৩৩ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার ইজারা প্রদান হয়। হাটের ইজারার ৫ শতাংশ ভূমি রাজস্ব, ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ৫ শতাংশ আয়কর সরকারকে নিয়মিত পরিশোধ করে আসছে। এই জায়গা নিয়ে ১৪নং ইউনিয়ন পরিষদের (পটিয়া) প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধ যা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী পটিয়া পৌরসভার রাজস্ব বন্ধ করতে একটি মহল বেশ কিছুদিন ধরে তৎপর। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত পটিয়া পৌরসভার পুরাতন থানা হাট উচ্ছেদ করতে আবুল কালাম আজাদ বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করে আসছিলেন। এই থানা হাট বন্ধ হয়ে গেলে পৌরসভার রাজস্বের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। পৌরসভার স্বার্থে ঐতিহ্যবাহী পুরাতন থানা হাট কোনভাবেই বন্ধ করা যাবে না। পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) আ.ন.ম. বদরোদ্দেজা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে শীঘ্রই তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।