৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার সবুজ সংকেত

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম, ভাষণ। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি একটি সশস্ত্র জাতিতে পরিণত হয় এব বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনে অভীষ্ট লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যায়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আব্রাহাম লিঙ্কন, উইনসন চার্চিল ও মাটি লুখার কিং জুয়িরের ঐতিহাসিক তিনটি ভাষণের চেয়েও বঙ্গববন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় অসাধারণ। রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ মানুষের সমাবেশে পৃথিবীর ইতিহাসে নজীর বিহীন ঘটনা। এই ভাষণটিতে মূর্ত হয়েছে বাঙালির হাজার বছরের শোষণ বঞ্চনার করুণ চিত্র এবং বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির আকাক্সক্ষা। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াইয়ের রেলচিত্র বর্ণনা করে বলেন, স্বাধীনতার পর পরই এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে ছিল।

এখন তা ২২ শতাংশে মানুষ সেই সময় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০ ডলার। বর্তমানে তা ১৪০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে কমপক্ষে আরো দু দফা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।

সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার সবুজ সংকেত। এই একটি মাত্র ভাষণেই আমরা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার শক্তি খুঁজে পাই। তিনি আরো বলেন, অনেক বাঁধা ও প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগুচ্ছে। এই অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে এখন থেকেই নির্বাচনমুখী কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি তাঁর প্রধান আকাক্সক্ষা ছিল। তাই তিনি স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু বাঙালিকে শৃঙ্খলিত করার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে হয়েছিল। তিনি আলো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশেষ উন্নয়নের রোল মডেল। এই অর্জনকে ধরে রাখার জন্য জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ,মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, আবদুল আহাদ, মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবাইদা নার্গিস খান, শহীদ আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মো: ইয়াকুব, আবুল মনসুর, গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঘোষ, দোস্ত মোহাম্মদ, আবদুল লতিফ টিপু, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ চৌধুরী, অমল মিত্র, রোটারিয়ান ইলিয়াস, জাফর আলম চৌধুরী, হাজী বেলাল আহম্মদ, থানা আওয়ামী লীগের ছিদ্দিকী, আলহাজ্ব ফিরোজ আহমদ, সুলতান আহমেদ চৌধুরী, কাজী আলতাফ হোসেন, মোজাহেরুল ইসলাম, আবদুল হালিম. এস এম ইসলাম, হারুনুর রশীদ, আবু তাহের, আনসারুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ছালেহ আহমদ চৌধুরী, রফিক হোসেন বাচ্চু, আবুল কাসেম, দলিলুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল জহরুল আলম জসিম, এডভোকেট আইয়ুব খান, আবুল হাসেম বাবুল, এস কে পাল, মোছলেম উদ্দিন, ছৈয়দ জাকারিয়া, আবদুর রহমান, মোহাম্মদ ইয়াকুব, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, শওকত আলী, আবদুল মালেক, সেলিম রেজা, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.