সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি::চট্টগ্রামের পটিয়ার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউপির পূর্ব ডেঙ্গাপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মিসফাক সুলতানা লিজাকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠে। সহ¯্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পটিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মুখে মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে।
লিজাকে হত্যা চেষ্টার দায়ে লিজার পিতা মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২৫ ধারা ৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৫০৬ দ:বি:। পুলিশের রেকর্ডকৃত দুর্বল ধারার এ মামলাটিতে আসামী সহজে ছাড়া পেয়ে যাবেন বলে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এডভোকেট জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রেকর্ড করা উচিত ছিল। অথবা ধর্তব্য অপরাধের মধ্যে ৩২৬ ধারা সংযোজনের প্রয়োজন ছিল।
বুধবার বখাটে আহসান উল্লাহকে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়। ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত না থাকায় আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানী করা হবে বলে ব্যাঞ্চ সহকারী জানান। আহত শিক্ষিকা লিজা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে মুমূর্র্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পিতা নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, গতকাল সকালে দুই হাত, পিঠ ও ঘাড়ের প্রচন্ড ব্যাথায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রায় দুই ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে আসে। মিসফাক সুলতানা লিজা ২০১১ সালে প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পায়। ঐ সময় সে পূর্ব ডেঙ্গা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করে। তার বাবা নুর মোহাম্মদ একজন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তাদের পরিবারে দুই ভাই। লিজা পরিবারের একমাত্র মেয়ে। তার বাবা নুর মোহাম্মদ জানায়, লিজার ইতিমধ্যে বিবাহের কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু ভাগের নির্মম পরিহাস বখাটে এ নির্মম দূর্ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছে।
বখাটে আহসান উল্লাহ টুটুলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মোহছেনা মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাজমুল নাহার। পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব দিল মোহাম্মদ সানির সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি স্বপন কান্তি নাথ, সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিপু, ভাইস চেয়ারম্যান পীরজাদা এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা আকম সামশুজ্জামান চৌধুরী, পটিয়া উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহার বিল্লাহ, সাতকানিয়া উপজেলার এসএম ইউসুফ, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কান্তি দে, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, আহত লিজার পিতা মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ, এএস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছগীর মুহাম্মদ, অধ্যাপক ভগীরত দাশ, শহীদুল ইসলাম, দিদারুল আলম, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: মনছুর আলম চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, প্রধান শিক্ষক সেলিম উদ্দিন, সাগর চৌধুরী, মহিম উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, হারুনুর রশীদ প্রমুখ।