শিশুদের কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করতে হবে

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :  বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে শুক্রবার(১৭মার্চ) আগ্রাবাদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ আলোচনাসভা, চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী বহুমাত্রিক কর্মসূচি পালন করেছে। এপিএসসি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আবসার মাহফুজ’র সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন খান।

প্রিন্সিপাল অর্পিতা নারগিস’র স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত আলোচনাসভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিক্ষাথী-অভিভাবক জাহানারা বেগম, শিক্ষিকা হোসনেয়ারা ও নাসরিন আকতার। পুরো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন শিক্ষিকা হাসিনা পারভীন।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা ও মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা।

এক রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসাবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্যে শিশুদের সুনাগরিকে পরিণত করতে হবে। ফুলের মতো শিশুরা যাতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে রাষ্ট্রকে সে উদ্যোগ নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক আবসার মাহফুজ বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত হৃদয়বান ও মানবদরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে ছিলেন আপোষহীন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন।

সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হোসাইন খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। আসুন, শিশুদের কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। সবাই মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলি। আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.