বর্তমান সরকার সাংবাদিক নির্যাতনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে: ডা. শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক::চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকদের জেল জুলুম, নির্যাতন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের মাধ্যমে এই সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছেন। আর স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তথ্য আইন সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করেছে।

শনিবার(১৮ মার্চ)সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী আয়োজিত আমার দেশ পত্রিকাসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়ারসহ সাংবাদিক সাগর রুনির বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
আমার দেশ পত্রিকা সহ বন্ধ মিডিয়া অবিলম্বে খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান মান্না, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান কে ১৩১৬ দিন কারাগারে রেখে এই সরকার সাংবাদিক নির্যাতনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এবং সাংবাদিক সালেহ নোমান সহ অসংখ্য সাংবাদিক কারা নির্যাতিত হয়েছে এই সরকারের আমলেই। এই সরকার সাগর-রুনির হত্যাকারীদের এখনো বিচার করতে পারে নাই। ডা. শাহাদাত সরকারের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ীর জন্য যে সকল ষড়যন্ত্র করছেন সে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব এদেশের জনগণ সময় আসলে দিবে। তখন পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।

শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন নয়, বিশ্বের ইতিহাসও ভিন্ন, হিটলারও টিকে থাকতে পারে নাই। ্ডা. শাহাদাত আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি এস.কে. সিনহা “সরকার বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রেখেছে” বলে যে বক্তব্য পত্র পত্রিকায় এসেছে তাদের বুঝা যায় দেশের বিচার ব্যবস্থার বেহাল দশা। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে বুঝা যায় বিচার বিভাগকে এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এক দেশে দ্বৈত আইন চলছে। সরকার দলীয় লোকদের জন্য এক আইন আর বিরোধী দলীয় লোকদের জন্য ভিন্ন আইন। এই হচ্ছে আমাদের দেশে আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার ব্যবস্থা।

ডা. শাহাদাত আরও বলেন, আগামীতে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের বিকল্প নেই। অবিলম্বে আমার দেশ পত্রিকাসহ সকল বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান। অন্যথায় পেশাজীবীরা রাজপথে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছ্।

এই সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে, তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চাই। এই সরকারে আমলে সাগর রুনিসহ অসংখ্য সাংবাদিক নিহত ও নির্যাতিত হয়েছে। অবিলম্বে সাগর-রুনি হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।

সম্মিলিত পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান। বক্তব্য রাখেন পেশাজীবী নেতা সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, এ্যাব’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, এড. ইফতেখার হোসেন মহসিন, বিএনপি নেতা কাজী বেলাল, ইকবাল চৌধুরী, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।