বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর চক্রান্ত চলছে- নোমান
সিটিনিউজবিডি ডেস্ক : কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই সরকারের দূর্নীতি আর দুঃশাসনের ফলে দেশের মানুষের জীবন আজ অতিষ্ট। শহীদ জিয়ার রাজনীতি ছিল শ্রমিকের আইলে আইলে, মেহনতী মানুষের বস্তিতে। বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপ তৎপরতায় লিপ্ত দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্র কারীরা।
দেশ বিরুধী নানা অসম চুক্তির মহড়া চলছে। এই বিষয়ে আমাদের সতর্ক থেকে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সু-রক্ষা এবং গণতন্ত্রের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আব্দুল্লাহ আল নোমান আরো বলেন, আদর্শের বন্ধনে, রাজনীতির বন্ধনে আমরা ঐক্যবদ্ধ। চট্টগ্রামের জনগণকে আমারা যদি উজ্জিবীত করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি তাহলে প্রশাসন জবাবদিহী করতে বাধ্য হবে। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ঐতিহাসিক রেওয়াজ। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রশাসন শহীদ মিনারে ফুল দিতে বাঁধা দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি প্রদর্শন করেছে।
তিনি মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করার কথা স্মৃতিচারণ করে বলেন, মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে আমার ৭ বৎসরের জেল হয়েছিল এবং আমার সম্পত্তি বাজোয়াপ্ত করা হয়েছিল। তিনি রবিবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি পূর্বক সামাবেশ কাজীর দেউরী চত্ত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ জিয়া ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অভিনশ্বর নক্ষত্র। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান ছিল অপরীসীম। স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করা ছাড়াও যুদ্ধ পরিচালনা ও যুদ্ধ প্রশাসনের নীতি নির্ধারণে মুক্তিযোদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধের মহা নায়ক। মুক্তিযোদ্ধ ছিল সর্বোপরি একটি জনযুদ্ধ। বহু সাধারণ মানুষের অসাধারণ আত্মত্যাগ আর সৌর্য বীর্যের এক অনুপম গৌরভ গাঁথা। বাংলাদেশের এই বীর সন্তানেরা ছিলেন অত্যুজ্জ্বল এক নক্ষত্রমন্ডলীর মতো। যে নক্ষত্রের আলো কখনো ম্লান হয়ে মুছে যেতে পারে না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, দেশী বিদেশী চক্রান্তের ফলে গণতন্ত্রের পথ চলা বার বার হোচুট খেয়েছেন। এই সরকার স্বৈরাচারীর কায়দায় দেশ শাসন করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধীনতা। শোষন, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। বারবার স্বৈরাচারী শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি।
বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম.এ আজিজ, মোহাম্মদ আলী, এস.এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল, মো. আলী, হারুন জামান, ইসকান্দর মির্জা, মোশারফ হোসেন দিপ্তি, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন সহ মহানগর থানা ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রমুখ নের্তৃবৃন্দ।