কুসিক নির্বাচন ‘পর্যবেক্ষণ’ করতে আদালতে যায়নি খালেদা

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ‘পর্যবেক্ষণ’ করার কথা বলে দুর্নীতির দুই মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে আদালতে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কুমিল্লার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য হাজির হতে না পেরে আইনজীবীদের মাধ্যমে সময় আবেদন করেন খালেদা। শুনানি শেষে দুই বিচারক ৬ ও ১৩ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।

আজ ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে প্রথমে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার আত্মপক্ষ শুনানি হওয়া কথা ছিল। কিন্তু কুমিল্লা সিটি নির্বাচন বিএনপির প্রার্থী অংশ নেয়ায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন বলে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া মামলাটিতে পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন আপিল বিভাগ নাকচ করলেও ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হবে। এজন্য আত্মপক্ষ শুনানি মূলতবি রাখা প্রয়োজন বলে সময় আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেন। ওইদিন বেগম জিয়া আদালতে হাজির না হলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আদালত জানান।

এছাড়া চ্যারিটেবল মামলার শুনানির পর একই স্থানে জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।

ওই আদালতেও খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির জন্য একই কারণ দেখিয়ে সময় আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আগামী ৬ এপ্রিল আত্মপক্ষ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, উভয় মামলা এর আগে ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন থাকলেও অরফানেজ মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেওয়ায় গত ৮ মার্চ হাইকোর্ট মঞ্জুর করেন এবং মহানগর দায়রা জজকে বিচারের দায়িত্ব দেন।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.