বুলবুল-গউছের বরখাস্তের আদেশও স্থগিত

সিটিনিউজ ডেস্ক::রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাদের বরখাস্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। আগামী তিন দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত থাকবে।

আদালতে মেয়র বুলবুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল। আর জি কে গউছের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ২ এপ্রিল মেয়রের দায়িত্ব নিতে নগরভবনে যান রাজশাহীর মেয়র বুলবুল। মেয়রের চেয়ারে বসতে না বসতেই তিনি ফের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, একটি মামলায় বুলবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে দেওয়া সর্বশেষ সম্পূরক অভিযোগপত্রে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই বছর ২৮ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারাগারে থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

কারাবন্দী অবস্থায় তৃতীয়বারের মতো হবিগঞ্জ পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক আদেশে জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করে। গত ৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। পরে ২৩ জানুয়ারি গউসকে বহিষ্কারের আদেশটি স্থগিত করে মেয়র পদ ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আপিল বিভাগও বরখাস্তের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার ১১ দিনের মাথায় গত রবিবার দায়িত্ব নিতে গেলে গউছও আবারও বরখাস্ত হন। সুনামগঞ্জে সাবেক এমপি প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা মামলায়ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশ বলা হয়।

মেয়র পদ ফিরে পেতে আজ বুলবুল ও গউছ পৃথকভাবে রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে।