অভিন্ন নদীর হিস্যা বুঝে নেয়া সময়ের ব্যাপার: কাদের

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::ভারতের কাছ থেকে তিস্তাসহ অভিন্ন সব নদীর হিস্যা বুঝে নেওয়া সময়ের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবিশ্বাস ও সন্দেহের দেয়াল উঠেছিল। এখন সেটা ভেঙে গেছে।

শুক্রবার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের  পরিদর্শন বাংলো ‘বনবিলাস’ উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। প্রায় দেড় কোটি টাকায় দ্বিতল বনবিলাস বাংলোটি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করেছে  সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

কাদের গাজীপুর যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হন। তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতায় ছিলেন ওবায়দুল কাদেরও।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে। বিএনপি অভিযোগ করছে, ভারতের সঙ্গে সরকার প্রতিরক্ষা নিয়ে চুক্তি করতে যাচ্ছে এবং এটা হলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে।

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাওয়ার দিন সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিস্তার পানিবণ্টন ছাড়া অন্য কোনো চুক্তি দেশবাসী মানবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, যে কারণে ৪১ বছর পর সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে, ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। আশা করছি, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর হিস্যা বুঝে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২১ বছর ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক খারাপ ছিল। অবিশ^াস এবং সন্দেহের দেয়াল উঠেছিল। সম্পর্ক খারাপ রেখে কোন ন্যায্য পাওনা আদায় করা যায় না। ভারতবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে ভারতের কাছ থেকে প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের যে ন্যায্য পাওনা সেটি থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা মনে করি সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমাদের ন্যায্য পাওনা আমাদের বুঝে নিতে হবে। ভারতের সাথে যুদ্ধ করে, বৈরীতা করে ন্যায্য কিছু পাব না।’

র‌্যাব বিলুপ্তের বিষয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘র‌্যাব বিএনপির সৃষ্টি। এখন সন্তানকে বিলুপ্ত চাইছে, কারণ তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে বিএনপির এখন গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।’

সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিছ, প্রকল্প পরিচালক কর্র্নেল নিজাম উদ্দীন আহমদ, গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি এ কে নাহিন রেজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.