রমেশ শীল বাংলার লোকসংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি::কবিয়াল রমেশ শীল ছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ সমাজের নানা অন্যায় অবিচার অসংখ্য কুসংস্কার ও গোরামীর বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাঁর লেখনিতে উঠেছিল স্বদেশী আন্দোলনের ঢেউ। একুশে পদকে ভূষিত কবিয়াল রমেশ শীলের গান বাংলার লোকসংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ।

গত ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডীতে কবির সমাধি প্রাঙ্গনে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কবিয়াল রমেশ শীলের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, তিনি সৃজনশীল প্রতিভা দিয়ে মাইজভান্ডারী গাউছে ধনের পরশে মাইজভান্ডারী গান রচনা করে সাধন সংগীতকে নিয়ে আসেন সাধারণ মানুষের ভক্তির আসনে।
কবি পুত্র পুলিন বিহারী শীলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, পিপলস ইনস্যুরেন্স কোং লি. এর নির্বাহী পরিচালক মো.সিরাজুল মোস্তাফা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতগাছিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন আবুল ফজল মো. সাইফুল্লাহ সুলতানপুরী, শাহজাদা সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মোজাদ্দিন বিল্লাহ সম্পদ সুলতানপুরী, আহল্লা দরবার শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন মাওলানা সৈয়দ মাঈনুল ইসলাম জুনায়েদ, খিতাবচর রহমানিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ শাহ নজরুল ইসলাম খিতাবচরী আল মাইজভান্ডারী।

সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম রাজু’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, মাইজভান্ডারী গবেষক ড.সেলিম জাহাঙ্গীর, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সমীক্ষক সুদর্শন চক্রবর্তী, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট নাসির উদ্দীন হায়দার, সংগঠক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, প্রীতিলতা ট্রাষ্টের সভাপতি , পৌর কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন আবু, সমন্বয়কারী আল সিরাজ ভান্ডারী।

এছাড়া দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, বিকেলে রমেশ শীল গোষ্ঠীর পরিবেশনা সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যায় আলোচনা সভা, রাতে মাইজভান্ডারী ঘরনা শিল্পীদের পরিবেশনায় রমেশ রচিত আধ্যাত্মিক গান ও কবি গানের আসর।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.