ভ্যাট নিয়ে আন্দোলন করলে দমন করা হবে: অর্থমন্ত্রী

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: ব্যবসায়ীরা ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে আন্দোলন করলে তা দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

 রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৮ তম সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নতুন ভ্যাট আইন ইস্যুতে মুখোমুখি ব্যবসায়ী ও অর্থমন্ত্রী  আবুল মাল আবদুল মুহিত। ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা আবদুল মুতালিব আন্দোলনের হুমকি দিলে অর্থমন্ত্রী রেগে গিয়ে বলেন, ‘আন্দোলন করে কিছু হবে না, আন্দোলন করলে দমন করা হবে।’

সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে শুরুতে আবদুল মুতালিব এনবিআরকে আক্রমন করে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে আমরা ছাত্রদের মত আন্দোলনে যাব। কারণ ভ্যাট আইনের পরে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইন করে লাভ হবে না, আমরা আন্দোলনে নামলে আপনারা ব্যর্থ হবেন।’

আবদুল মুতালিব বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যাবস্থা করার কথা বলা হলে এনবিআর তা করেনি।

এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বর্তমানে দেশে আট লাখ ৬৪ হাজার নিবন্ধিত করদাতা আছেন। তাদের মধ্যে ৩২ হাজার রিটার্ন দাখিল করেছে। আপনার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পের কতজন রিটার্ন দিয়েছে তার তালিকা আমাকে দেন। আপনারা কতজন ভ্যাট জমা দেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ আমরা আলোচনা করতে বসেছি কিন্তু আবদুল মুতালিব হুমকি দিচ্ছেন, আমি কথাগুলো একটুও পছন্দ করি নাই। আবদুল মুতালিবের কথাগুলো তুলে নেওয়া উচিত। এখানে আলোচনা হচ্ছে, এখানে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে লাভ নাই।

অর্থমন্ত্রীর দমনে ঘোষণার পর উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা হট্টগোল শুরু করে। এসময় এনবিআর চোয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান ও এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদের হস্তক্ষপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি ছিলেন এম. এ মান্নান ও মূল অনুষ্ঠান পরিচালনা করে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

এফবিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাজেট প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে অতিমাত্রায় রাজস্ব নির্ধারণ করা হলে অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বাজেটের আকার সঙ্গে সবার সঙ্গে আলোচনাপূর্বক গুণগতমান ও বাস্তবায়ন সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। জনগণ যাতে বৃহৎ বাজেটের ভার সহ্য করতে পারে সেদিকে লক্ষ্যে রাখতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.