নিরাপত্তা শংকায় ব্যবসায়ী নেতা

0

সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি প্রতিনিধি::রাঙামাটি বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: এর অর্থ সম্পাদক রনজিত কুমার ধর সাধারণ সদস্যদের সঞ্চয় আমানত রক্ষা করতে গিয়ে অত্র সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক মারধরের স্বীকার হয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হওয়া ও জীবনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা বিষয়ে আশংকা প্রকাশ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র সমিতির সাবেক আহ্বায়ক আজম খাঁন, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চৌধুরী হারুনুর রশিদ, সমিতির সদস্য মো: আজিম, উত্তম দেবনাথ, রতন চন্দ্র গুহ।

সংবাদ সম্মেলনে রনজিত কুমার ধর বলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমার কাছ থেকে বারবার সমিতির অর্থ হিসাব পত্র চাইছিলেন। কিন্তু কেনো এই হিসাব পত্র তা আমাকে নিদিষ্ট করে বলেন নি। সে সময়ে আমি নিয়ম অনুসারে একটি চিঠি কিংবা পত্র প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাই। এছাড়া পত্র রিসিভ কপি দেওয়া জন্য বলি। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক এই কাজ না করে বারবার আমাকে সকল হিসাব পত্রের খাতা দেখানোর কথা বলেন। পরে গত ২৮-০৪-২০১৭ইং তারিখে রাত সাড়ে আটটায় সমিতির জরুরী সভা আছে বলে সমিতির মোবাইল ফোন থেকে আমার কাছে ম্যাসেঞ্জ আছে। তাই আমি রাত ৮.৪০ মিনিটে সমিতির কার্যালয়ে হাজির হই। পরে তারা আমার কাছে এক মুহুর্ত্বের মধ্যে সকল হিসাব পত্রের কাগজ জমা দেওয়ার জন্য বলে। সে সময়ে আমি তাদেরকে রিসিভ কপি দিলে সকল কাগজ পত্র দিবো বলে জানালে তারা আমার সাথে বাক বিতন্ডা জরিয়ে যায়। পরে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে ডেকে আনেন তারা। এসময় তিনি এসে জানান সমিতির ভিতরে সমস্যা বসে নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে। পরে থানার কর্মকর্তা যাওয়া পরে পুর্ণরায় তারা আমার সাথে কাগজ পত্র দেওয়া বিষয় নিয়ে বাক বিতন্ডা জরিয়ে যায়। সেই মুহুর্ত্বে পিছন থেকে কে বা কারা আমার উপরে হামলা চালায়। পরে শুনতে পাই সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলছেন কার্যালয়ের দরজা, জানালা বন্ধ করে মারধর করার জন্য। সে সময়ে তারা আমার উপরে যে যে ভাবে পারে মারধর করে। পরে আমি কাগজ পত্র দিবো বলে সে স্থান থেকে প্রাণ নিয়ে চলে আসি পরে অন্য সকল ব্যবসায়ীসের সহযোগিতায় রাঙামাটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমি তিন দিন হাসপাতালে ছিলাম। পরে ছাড়া পেয়ে আমি গত ৩০-০৪-২০১৭ইং তারিখে জীবনের নিরাপত্তার জন্য রাঙামাটি কোতয়ালী থানার একটি সাধারণ ডায়রী করি।
রনজিত কুমার ধর আরো বলেন, এমত অবস্থায় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। তাই আমি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বর্তমানে আশংকায় রয়েছি। তিনি আরো জানান, সমিতির সকল ব্যয় করেন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কিংবা তাদের নির্দেশ কৃত কোন সদস্য। আমি শুধু মাত্র ব্যয়ের রশিদ আনলে তা লিপিবদ্ধ করি। এছাড়া সকল আয়ের কাগজ পত্র আমার কাছে রয়েছে। সমিতির সকল টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। যার স্ট্যাটমেন্টও আমার কাছে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গত দুই মাসের হিসাব সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক অনুমোদন দেন নি। কিন্তু সকল হিসাব আমার কাছে রয়েছে। তারা অনুমোদন না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অর্থ লুট পাটের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.