পণ্যের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার ডিসি’র নেই: মহিউদ্দিন

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী পবিত্র রমজান মাসে সব চেয়ে বেশী নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ছোলা ও চিনির দাম নির্ধারনে চট্টগ্রাম জেলা প্রাশাসকের একক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, রমজান মাসে ব্যবসায়ীগণ ভোগ্যপন্য আমদানীকারক সমিতি এবং ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দাম নির্ধারন করে দিতে পারেন।

রোববার (৭ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এখন বাজারে যে ছোলা রয়েছে তার আমদানী প্রক্রিয়া শুরু হয় বিগত তিন মাস পূর্বে। এই ছোলা বর্তমানে ২হাজার ৬শত ৫০টাকা মন হিসেবে কেজি প্রতি ৭৫ টাকা করে বিক্রয় করলে কেজিতে ৪ টাকা লাভ হয়। একই ভাবে মিল রেইট অনুযায়ী এক কেজি চিনির দাম সর্বোচ্চ ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা করে। গত বছর বাজারে কেজি প্রতি ছোলা দাম ছিল ৭৫ টাকা এবং এই দরে গত পনের দিন আগেও ছোলা বিক্রি হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বর্ধিত হারে ছোলার দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা ও চিনির দাম ৬৩ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ায় বাজারে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। এতে ব্যবসায়ীগণ সুযোগ পেয়েছেন যে, তারা জেলা প্রশাসকের বেধেঁ দেয়া দামের নীচে ভোগ্যপন্য বিক্রি না করার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যখন মাহে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বদ্ধ পরিকর তখন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের বর্ধিত হারে দাম নির্ধারণ সরকারি নীতি মালার সাথে সাংঘর্ষিক। তাঁর এই অযাচিত ভূমিকা সরকারের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুন্ন করেছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, সমুদ্রে পথে ১২শ ভোগ্যপণ্য বাহি কার্গো পরিবহন ভাসমান রয়েছে। যা সিন্ডিকেট কর্তৃক মূল্য বৃদ্ধির অপকৌশল।
তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে সিটি গেইট থেকে কুমিরা হয়ে সীতাকুন্ড পর্যন্ত বিভিন্ন পাট কলের গুদাম ভাড়া নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছোলা ও চিনি মওজুদ করা হয়েছে। এসব জনস্বাস্থের জন্য হুমকি স্বরূপ। তিনি গুদামগুলো অনতিবিলম্বে সিলগালা করে দেয়ার জোর দাবী জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.