বোয়ালখালী প্রতিনিধি :নির্যাতন সয়ে প্রায় ৯ বছর সংসার করে ৮ বছর বয়সী একমাত্র মেয়েকে নিয়ে এখন বিচারের আশায় আইনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ছনদন্ডি এলাকার গৃহবধুু ফেরদৌস আক্তার।
৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে পোপাদিয়ার জাহেদ আহম্মদের পুত্র প্রবাসি সৈয়দ নুরের সাথে তার বিয়ে হয় মধ্যম কড়লডেঙ্গার মৃত আবুল বশরের বড় মেয়ে ফেরদৌস
আক্তারের। তাদের সংসারে জান্নাতুল কাইছার সীমার জম্ম হয়। সে কেজি থ্রি’র শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। বিয়ের পর সংসারে প্রায় শারীরিক মানসিক নির্যাতন একমাত্র মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সহ্য করে আসলেও যৌতুক আর স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মত না হওয়ায় তালাক দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে প্রবাসী স্বামী মো. সৈয়দ নূর।
নির্যাতিত গৃহবধু জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। সর্বশেষ গত ৭মে রোববার রাতে স্বামী সৈয়দ নুর জোর করে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বলেন। এতে অস্বীকৃতি জানালে সৈয়দ নুর(৩৮)সহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন মারধরসহ ছুরি দিকে খুঁচিয়ে আহত করেন। এ সময় গৃহবধুর আর্তনাদে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায় বলে জানান ফেরদৌস আক্তার।
এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানা মামলা না নেয়ায় ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ১১ মে বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-১ চট্টগ্রাম আদালতে
মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধু ফেরদৌস আক্তার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবি আজগর আলী সুজন। গৃহবধুর স্বামী প্রবাসি সৈয়দ নুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ছোট ভাই আহম্মদ নুর পরিচয় দিয়ে বলেন, ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেনা এবং মা-বাবাসহ পরিবার নিয়ে তারা সৈয়দ নুর থেকে আলাদা থাকেন জানিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।