খালেদার আবেদনে আদালত বদল

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পাল্টে দিয়েছে হাইকোর্ট। ঢাকার জেষ্ঠ্য বিষেশ জজ আদালত থেকে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের কাছে মামলাটি বদলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী জানান, গত রবিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটির বিচারিক আদালত বদলির আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আজ আদালত নির্ধারণ করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলি করার আদেশ দিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুবউদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

গত ২৬ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগ এনে করা মামলায় রাজধানীর বকশিবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। আবেদনে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়েছিল। তবে এ আবেদন মঞ্জুর করেনি হাইকোর্ট।

এরপর হাইকোর্ট বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মামলটি শুনানির জন্য পাঠায়। কিন্তু ওই বিচারক এই মামলার অভিযোগ দাখিলের সময় দুদকের পরিচালক ছিলেন বিধায় ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি এই বিচারকের ওপরও অনাস্থা প্রকাশ করেন। শুনানি শেষে গত রবিবার হাইকোর্ট কামরুল হাসান মোল্লার আদালতের প্রতিও অনাস্থার আবেদন গ্রহণ করে বিচারক পরিবর্তনের আদেশ দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বিচারের জন্য স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়ের প্রতিও এর আগে অনাস্থা জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০১৪ সালের মার্চে বিচার শুরুর পর তার প্রতি অনাস্থা জানান খালেদা জিয়া। এরপর পরে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাসুদেবকে পটুয়াখালী বদলি করে আবু আহমেদ জমাদ্দারকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.