নিজস্ব প্রতিবেদক::কোনো ধরনের সমীক্ষা ছাড়াই মহেশখালের মতো জোয়ার–ভাটার একটি বড় খালে বাঁধ নির্মাণ করে জনগণের কোটি কোটি টাকা অপচয় করায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি সভায় মহেশখালের বাঁধটি দ্রুত অপসারণের সিদ্ধান্তের পর মহেশখাল বাঁধ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সচেতন নাগরিক সমাজের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন গতকাল এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান।
দেরিতে হলেও নগরীর ২৭, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টিকারী মহেশখাল বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, কোনো প্রকার সমীক্ষা ছাড়াই এবং স্থানীয় জনগণের মতামত উপেক্ষা করেই মহেশখালের মতো একটি জোয়ার–ভাটার খালকে ইট, কংক্রিট দিয়ে বন্ধ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই নিজেদের জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
দুই বছর ধরে এ বাঁধের কারণে এলাকাবাসীর জানমাল এবং ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্যও তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
বাঁধের কারণে মহেশখালের পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্রুততম সময়ে আরএস, পিএস খতিয়ান অনুসরণ করে মহেশখাল খনন করে খালের দু’পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান খোরশেদ আলম সুজন।
নগর পরিকল্পনাবিদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের মতামত নিয়ে সল্টগোলা রেলক্রসিংস্থ মহেশখালের মুখে একটি আধুনিক ুইসগেট নির্মাণের দাবি জানান সুজন।
গত বছর মহেশখালের বাঁধ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনায় স্থানীয় জনগণের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ আওয়ামী লীগ নেতা অচিরেই নিঃশর্তভাবে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট আবেদন জানান।