সিটিনিউজ ডেস্ক::প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে কর না বাড়ানোর প্রস্তাব চরম জনস্বাস্থ্যবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। একই সাথে তামাকবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা করা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি।
খলীকুজ্জমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী তামাক সেবন থেকে মানুষকে বিরত রাখতে একটা নীতিকাঠামো প্রয়োজন। তরুণ প্রজন্ম তামাক থেকে ধীরে ধীরে মাদকের দিকে যায়, এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তামাক পণ্যের দামের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। তাহলেই একসময় আমরা সুফল পাবো।’
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের মূল্য এবং কর হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে গুল-জর্দ্দার মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকের কর হারও বাড়ানো হয়নি। ফলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি সাপেক্ষে সস্তা থেকে যাচ্ছে তামাকদ্রব্য।
এর প্রতিবাদে বক্তারা বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে কর না বাড়ানোর প্রস্তাব চরম জনস্বাস্থ্যবিরোধী। গত এক বছরে জনগণের মাথা পিছু আয় ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতিও হয়েছে। মাথাপিছু আয় এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে তামাকপণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা মানে ভোক্তার কাছে এগুলো আরও সহজলভ্য হওয়া।’
অনুষ্ঠানের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সিগারেটে (দশ শলাকার প্যাকেট) নিম্নস্তরে ২৫.৯৫ টাকা, উচ্চস্তরে ৪৯.৬০ টাকা ও প্রিমিয়াম স্তরে ৮০ টাকা সুনির্দিষ্ট কর ধার্য করতে হবে। একই সাথে নিম্নস্তরে সিগারেটের খুচরা মূল্য ২৩ টাকার স্থলে ৪০ টাকা, উচ্চস্তরের ৭০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে কমপক্ষে ১২০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।’
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান, দ্য ইউনিয়নের কনসালট্যান্ট অ্যাডভোটেক মাহাবুবুল আলম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সর (আত্মা) কো-কনভেনার নাদিরা কিরণ প্রমুখ।