নাজাতের দশকে যে ৩টি আমল করা জরুরি

0

ধর্ম ও জীবন : চলছে নাজাতের দশক। দেখতে দেখতে রহমত ও মাগফেরাতের দশক শেষ হয়ে গেল। পবিত্র রমজান মাস মুমিন মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার মহা অনুগ্রহ। এ অনুগ্রহের মাস রমজানের শেষ দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত দিয়ে থাকেন।

এ দশকেই রয়েছে মুমিন মুসলমানের শ্রেষ্ঠ ইবাদতের রাত ‘লাইলাতুল কদর’। কুরআনের এ রাতকে কেন্দ্র করে একটি সুরাই নাজিল করা হয়েছে। সেখানে ‘লাইলাতুল কদর’কে হারাজ মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে মুমিন বান্দার জন্য ৩টি কাজ করা আবশ্যক। যা তুলে ধরা হলো-

সুরা ইখলাছ পড়া : শেষ দশকের প্রতিদিন ও রাতে নূন্যতম তিনবার সুরা ইখলাছ তেলাওয়াত করা। কেউ যদি তিনবার সুরা ইখলাছ তেলাওয়াত করে, তবে আল্লাহ তাআলা তাকে সম্পূর্ণ কুরআন তেলাওয়াতে সাওয়াব দান করবেন।

একদিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ কি এক রাতে (শোবার সময়) এক-তৃতীয়াংশ (১০ পারা) কুরআন পড়তে পারবে? সাহাবাগণ আরজ করলেন, এটা কেমন করে সম্ভব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- কুল হুয়াল্লাহু আহাদ` (সুরা ইখলাছ) কুরআনের এক তৃতীয়াংশ। (বুখারি ও মুসলিম)।

ফজর এবং ইশা’র নামাজ জামাআতে আদায় করা : রমজানের শেষ দশকে ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইশার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করলো। আর যে ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতে আদায় করলো, তবে ওই ব্যক্তি সারারাত নামাজে আদায় করল। (তিরমিজি)।

দান-খয়রাত করা : রমজানের শেষ দশকের প্রতি রাতে গরিব অসহায়দের মাঝে দান করা। কারণ এ দশকে রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল ক্বদর। দানের রাতে যদি কেউ লাইলাতুল কদর পেয়ে যায়; তার ওই এক রাতের দান হাজার মাস দান করার সমান সাওয়াব লাভ হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের শেষ দশকের প্রতি রজনীতে উল্লেখিত তিনটি কাজ করার তাওফিক দান করুন। লাইলাতুল কদরের বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.