সিটিনিউজবিডি : নিজের বক্তব্যে অটল থাকলেও ‘ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায়’ বাবা সেলিম খানের অনুরোধে টুইটগুলি মুছে দেওয়া হলো বলে রবিবার বিকেলে জানান সালমান। এদিন বিকালেই শনিবার রাতে করা টুইটের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির যুব সংগঠনের ২০০ কর্মী তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। নিরাপত্তার খাতিরে সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টসের সামনে ৫০ জন পুলিশ মোতায়ন করা হয়। সামনের রাস্তায় দেওয়া হয় ব্যারিকেড।
১৯৯৩ সালের মুম্বাই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ইয়াকুব মেমনকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় অভিনেতা সালমান খান। শনিবার রাতে টুইটারে বেশ কয়েকটি পোস্টে, হামলার জন্য ইয়াকুবের ভাই টাইগার মেমনকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানিয়ে পর দিনই ব্যাপক বিতর্কের মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ‘দাবাং’ তারকা।
পরে এই বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে সালমান টু্ইট করেন, “আমি যা বলেছিলাম, তা হলো তার (টাইগার) জন্য ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি হওয়া উচিৎ নয়। আমি কখনোই বলিনি, কিংবা বোঝাতে চাইনি ইয়াকুব নির্দোষ। আমাদের দেশের বিচার ব্যাবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।
পরের টুইটে তিনি আরও বলেন, “মুম্বাইয়ের বোমা হামলায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে। এবং আমি বারবার বলেছি, এমনকি একটি নিরাপরাধ মানুষের হত্যা পুরো মানবতা হত্যার শামিল।”
“আমার বাবা বলেছেন, আমার উচিৎ আগের টুইটগুলো সরিয়ে ফেলা। কারণ, সেগুলো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করছে। আমি তাই সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছি।”
“আমি আমার অজান্তে সৃষ্টি করা যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি।”
তবে সালমান এও বলেন, “যারা দাবি করছেন, আমার টুইট ধর্মের বিপক্ষে, তাদেরকে কঠিনভাবে নিষেধ করছি এরকম কিছু না ভাবার জন্য। আমি সব সময়ই বলেছি, সকল ধর্মবিশ্বাসকে আমি শ্রদ্ধা করি এবং ভবিষ্যতেও করবো।”