সিটিনিউজবিডি : ইসলামিক স্টেট মুক্ত একটি জোন গড়ার পরিকল্পনার বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। সিরিয়ায় আইএসের ওপর হামলা চালানোর এক দিন পর সোমবার এ চুক্তির ঘোষণা এলো। এর ফলে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে তুরস্কের জড়িয়ে পড়ার মাত্রা বাড়লো।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটের সদস্য তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ চুক্তিটিকে আঙ্কারার কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানোর পূর্বশর্ত হিসেবে সিরিয়ার উত্তর সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া আটশ কিলোমিটার এলাকায় একটি নিরাপদ জোন গড়ে তোলার তুরস্কের দীর্ঘদিনের দাবিটি বাস্তবায়ন হলো। তবে এই নিরাপদ জোনের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে এবং এটি কোয়ালিশন জোট নো ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করবে কিনা সে বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়। এছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশারের অনুগত সেনা অথবা কুর্দিশ মিলিশিয়া অথবা সিরিয়ার বিদ্রোহীরা যারা আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা যদি মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা চালায় সেক্ষেত্রে কী ধরণের জবাব দেয়া হবে তাও এখনও পরিস্কার হয়নি।
ওবামা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘ এখনও বিস্তারিতের বিষয়ে কাজ করা বাকী আছে। তবে আমরা তুরস্কের সঙ্গে যে বিষয়ে আলাপ করেছি সেটি হচ্ছে, যেসব মিত্র উত্তর সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের সহযোগিতা।’
তিনি বলেন, সীমান্তের কাছাকাছি ৬০ মাইল এলাকাজুড়ে আইএস মুক্ত জোন ও সিরিয়ার শরণার্থিদের জন্য নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠায় তারা তুরস্ক ও সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিদ্রোহীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপকে প্রশিক্ষণ ছাড়া অন্যকোনভাবে সরাসরি সহযোগিতা করেনি মার্কিন প্রশাসন। কারণ এই গ্রুপগুলি যতোটা না আইএসের সঙ্গে লড়াই করতে আগ্রহী তারচেয়ে বেশি তারা আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহী। তবে সম্প্রতি কুর্দি মিলিশিয়াদের গ্রুপ ওয়াইপিজে সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে বেশ সফলতা অর্জন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই কৌশল নিয়ে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে ওবামা প্রশাসন।