সিটিনিউজবিডি : বিশ্বব্যাপী পাচারের শিকার হচ্ছে লাখ লাখ নারী, পুরুষ এবং শিশু। পণ্যের মতো কেনাবেচা চলছে তাদেরকে নিয়ে। গণিকাবৃত্তি ও বাধ্যতামূলক নানা শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে তাদেরকে। আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের হিসাব অনুযায়ী, মানবপাচারকারীরা প্রতি বছর ১৫,০০০ কোটি ডলারের মুনাফা করে থাকে।
কামি`র কাহিনি
নাইজেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বেনিন শহর। এখানে দালালরা ঘুরে ঘুরে তরুণীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে। তাদের বিদেশে কাজ আর টাকাপয়সার স্বপ্ন দেখায়। কামি এসব ঘটনার শিকারদের মধ্যে একজন। দালালরা তাকে ইতালিতে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখায়। তারা বলে, ইতালিতে কাজ করে সে যা আয় করবে তা দিয়ে সে বাড়িতে তার সংসারের হাল ধরতে পারবে।
দালালদের কথামতো ইতালিতে পৌঁছালো কামি। কিন্তু সেখানে সে দেখলো সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। তাকে জোর করে গণিকাবৃত্তিতে নিয়োজিত করা হলো। প্রথম প্রথম সে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যখন তার খাবার বন্ধ করে দেওয়া হলো, মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হলো- তখন এই কাজ ছাড়া তার কোন উপায় ছিল না। তিন বছরের গণিকাবৃত্তির আয় থেকে পাচারকারীরা তার কাছ থেকে মোট ২৭,০০০ ইওরো আদায় করে।
প্রতিবছর সারা বিশ্বে পাচার করা হয় এমন লাখ লাখ মানুষের মধ্যে কামিকে। এদের মধ্যে একটা বড় অংশ ব্রিটেনে পাচার করা হয়। ২০১৪ সালে মোট ২০০০ লোককে ব্রিটেনে পাচার করা হয়। এর মধ্যে ২৪৪ জনকে আনা হয় নাইজেরিয়া থেকে। সূত্র: বিবিসি বাংলা