কাপ্তাই সড়কে গণ পরিবহন সংকট

0

এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম)::ঈদ উৎসব উদযাপন অতিক্রান্ত হল প্রায় এক পক্ষকাল। ইতোমধ্যে ঈদের আমেজ কমলেও রাউজানে কমেনি গাড়ি ভাড়ার তেজ। নানা অজুহাতে যাত্রীদের জিম্মি করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে অসাধু চালকরা। এতে করে নিত্য যাতায়তকারী চাকুরিজীবি, শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নিু আয়ের নানা পেশার যাত্রীদের ভোগান্তির অন্ত নেই।নিরুপায়হীন যাত্রীরা অসহায়ভাবে অসাধু চালকদের নিকট আত্মসমর্পন করছেন। এক্ষেত্রে প্রশাসন নির্বিকার।

নিত্য যাতায়তকারী যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাপ্তাই সড়কে গণ পরিবহন সংকট চরমে। এই সড়কে বেশ কয়েক বছর ধরে কোন লোকাল বাস চলাচল করে না। এই সুবাদে লোকাল বাস সার্ভিসের জায়গাটি দখল করে নেয় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। বছর দুয়েক পূর্বে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি স্ব-উদ্যোগী হয়ে কাপ্তাই সড়কে চুয়েট গেইট থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করলেও অজানা কারনে তা এখন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কাপ্তাই পাহাড়তলী ও নোয়াপাড়া থেকে বহাদ্দারহাট পর্যন্ত কিছু বিরতিহীন রেগুনা সার্ভিস রয়েছে যেগুলো সন্ধ্যার পর পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলেও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশী ভাড়া দাবী করে। এই প্রেক্ষাপটে অটোরিক্সা চালকের দখলে থাকা কাপ্তাই সড়কে আসহায় যাত্রীরা জিম্মি হয়ে আছে।

কাপ্তাই সড়ক দিয়ে শহরে নিত্য যাতায়তকারী নাছির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, এহছানুল চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন চাকুরিজীবির সাথে কথা বলে জানা যায়, পাহাড়তলী থেকে নোয়াপাড়া ও কাপ্তাই রাস্তার মাথার নির্ধরিত ভাড়া যথাক্রমে ১০ টাকা ও ৩০ টাকা। কিন্তু সেই ভাড়া এখন যথাক্রমে ১৫- ২০ টাকা ও ৪০-৫০ টাকা। একটু বৃষ্টি হলে বা বন্ধের পুর্ব দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাস্তার মাথা থেকে আসার প্রক্ষালে এবং শুক্রবার বিকালে পাহাড়তলী থেকে যাওয়ার প্রক্ষালে সেই ভাড়া হয়ে যায় ৫০-১০০টাকা ! নোয়াপাড়া থেকে রাস্তার মাথার নির্ধারিত ভাড়া ২৫ টাকা হলেও সেই ভাড়া বেড়ে গিয়ে ৩০-৪০ টাকা। সিএনজি চালকরা যার যার ইচ্ছা মত বাড়তি ভাড়া হাকাচ্ছে। বিভিন্ন চালক সমিতি নির্ধারিত ভাড়া থাকলে অসাধু চালকরা এই সবের বৃন্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে জানা যায়।

যাত্রীবেশে বেশ কয়েকজন আটোরিক্সা চালকের সাথে বাড়তি ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ওয়াশার রাস্তা খোঁড়াখুড়ির কারণে কাপ্তাই সড়কের অবস্থা বেহাল। সর্বত্র খানাখন্দকে পরিপূর্ণ। দিনের বেলায় সড়ক খননের কারণে সৃষ্ট যানজটে পড়ে ৪০ মিনিটের পথ ২ ঘন্টায়ও শেষ হয় না। তাছাড়া, গ্যাসের দাম বাড়তি হলেও দীর্ঘ সময় লাইন ধরে সময় মত গ্যাস পাওয়া যায় না। এসবের মধ্যে দৈনিক ৪৫০ টাকা গাড়ি (গ্রাম) ভাড়া মেট্রোর ক্ষেত্রে তা ৬০০টাকা, ৩০০-৩৫০ টাকা গ্যাস খরচ, খাবার খরচ সবকিছু মিলিয়ে নিজের বেতন তুলতে হিমসিম খেতে হয়। মাঝে মধ্যে পুলিশ ডিউটি সহ নানা অজুহাতে আদায় করে ২০০-৫০০টাকা। তাই মাঝে মাঝে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে হয়। কিন্তু কিছু অসাধু চালক সীমাহীন বাড়তি ভাড়া আদায় করে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.