সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি:: চট্টগ্রামের পটিয়ায় গতকাল নারী জাগরণ সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে ৩০ বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া কন্যা ফিরে পেল মা-বাবা। এতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মা-বাবা ও ফিরে পাওয়া কন্যার কান্নায় ভারী হয়ে উঠে নারী জাগরণ সংস্থার কার্যালয়। সানন্দে নিজেদের হারিয়ে যাওয়া কন্যা রুবি আকতারকে গ্রহণ করে নেন বাবা মুন্সি মিয়া ও মা জাহেদা বেগম।
জানা যায়, ৩০ বছর পূর্বে পটিয়ার কাগজী পাড়া থেকে সন্তান না থাকায় জাহেদা বেগমের চাচাতো বোন রিজিয়া বেগম তারই ভাগিনী রুবি আকতারকে চুরি করে নিয়ে যায়। এতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হারানো মেয়ে ফিরে পায়নি জাহেদা বেগম। এতে তার মা-বাবা অজানা এক কষ্ট নিয়ে ৩০টি বছর পার করেন।
সম্প্রতি পালক মা রিজিয়া বেগম ও বাবা আবুল হাশেম গ্রাম রতনপুর রুবি আকতারকে একই এলাকার সরোয়াতলী ইউনিয়নের আবুল হাশেমের পুত্র আজম খানকে বিয়ে দেন। এতে তাদের ঔরশে তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।
সম্প্রতি স্বামীর সাথে রুবি আকতারের দাম্পত্য কলহ শুরু হলে প্রকাশ হয় যে, সে আবুল হাশেমের প্রকৃত কন্যা নয়। পালক কন্যা ছিল। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রুবি আকতার নিশ্চিত হয় তার প্রকৃত মা জাহেদা বেগম ও বাবা মুন্সি মিয়া। তাকে ৩০ বছর পূর্বে কাগজী পাড়া থেকে তার পালক মা-বাবা চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল।
এ নিয়ে সে গত মাসে পটিয়া নারী জাগরণ সংস্থার সভানেত্রী পারভিন আকতারের শরণাপন্ন হন এবং লিখিত দরখাস্ত দেন।
গতকাল এ বিষয়ে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে প্রকৃত মা-বাবা তাদের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে রুবি আকতারকে সনাক্ত করে এবং নিজেদের কাছে নিয়ে যেতে সম্মত হয়।
এসময় পটিয়া নারী জাগরণ সংস্থার সভানেত্রী পারভিন আকতার, কাউন্সিলর পিপি বদিউল আলম, কাউন্সিলর সাংবাদিক আবদুল হাকিম রানা, কাউন্সিলর মির্জা সিরাজুল ইসলাম, সম্পাদক জেসমিন আকতার তুলি, জাহানারা বেগম, রিংকি দেব উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মেয়েটি বলেন, ৩০ বছর পূর্ব থেকে আমি নানা যন্ত্রণায় ভুগেছি। প্রকৃত মা-বাবার আদর ¯েœহ পায়নি। কথায় কথায় স্বামী আমাকে পালক বলে খাটো করতো। এখন আমি আমার প্রকৃত মা-বাবার কাছে ফিরে আসতে পারায় খুব ভালো লাগছে।