বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জামুকায় স্মারকলিপি

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি:: চট্টগ্রামের পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে মন্ত্রণালয় ও জামুকা প্রদত্ত নির্দেশিকা না মানার অভিযোগ এনেছেন বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা। তারা গতকাল রবিবার দুপুরে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রদত্ত এক স্মারকলিপিতে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকা ১০ নম্বর নির্দেশিকা দিয়েছিল।

এজন্য যে যাতে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম নির্ভূলতামুক্ত পক্ষপাত ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়। কিন্তু পটিয়ায় তা অনুসরণ না করে বিশেষ করে প্রকাশ্যে যাচাই-বাছাই না করে একটি আবদ্ধ রুমে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম করায় প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম বর্তমান যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক প্রনীত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।

জানা যায়, পটিয়ায় অনলাইন সহ প্রায় ৭৭৪ জন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে আবেদন করেন। এর মধ্যে ১৫০ জন গেজেটভুক্ত হওয়ায় তা বাদে মোট যাচাই-বাছাই করার জন্য ফরম দেওয়া হয় ৫২৪টি। এছাড়াও লাল বার্তায় ছিল ৩০০ জন। খরব নিয়ে জানা যায়, পটিয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

পটিয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে যাচাই-বাছাই শুরু হলে ৫ মাসেও মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়নি। ফলে কোন মুক্তিযোদ্ধার ভাগ্যে কি ঘটেছে তারা তা অদ্যাবধি জানতে না পারায় হতাশায় ভুগছেন এবং তারা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম তাদের অপছন্দ হলে বা তাদের বিরুদ্ধে গেলে আপীল করার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে তারা সরকারের নির্দেশনা ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা অনুসরণ করে দেমাগ্রী বা ভারতের সীমানা অতিক্রম করে যারা যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন তাদের তালিকাভুক্তির দাবি জানান। সাথে সাথে দেশের অভ্যন্তরে যারা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছেন তাদেরকেও তালিকাভুক্ত করার দাবি জানান। অন্যথায় যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক প্রণীত তালিকা এবং অভিযুক্ত বাদ দেওয়াদের তালিকা পাওয়া না গেলে মানববন্ধন ও অনশন সহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন।

এতে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেন মো: আবু তাহের, প্রিয়তোষ কুমার দে, আবদুল ছালাম, সামশুল আলম, কামরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, আবুল বশর, সাধন শীল, আবদুল আজিজ, তপন কুমার চৌধুরী, মো: নাছিম, জহিরুল হক, জাফর আহমদ ভুলু, আবু তৈয়ব, অশোক রায়, হাজী এজহারুল হক, পুলিন বিহারী নাথ প্রমুখ।

এব্যাপারে জানতে চাইলে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। তিনি তাদের বিরুদ্ধে আনীত অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.