সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি প্রতিনিধি::রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ৪নং গিলাছড়ি ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা ত্রিরতন চাকমা। তিনি নিজ প্রচেষ্টায় এবং চেয়ারম্যান ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় নিজের ৫ একর জমিতে আনারস, আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা চাষ করেছিলো।
গত ১৩ জুন থেকে রাঙামাটি সংগঠিত হওয়া পাহাড় ধসে তার বাগানও ধসে যায়। ১৪ তারিখ তিনি দেখতে পান তার পাহাড়ের মাটি ভেঙ্গে গিয়ে বিভিন্ন ফলের গাছ মাটি চাপা রয়েছে। শত স্বপ্ন নিয়ে তৈরি করেছিলো এই বাগানটি। আশা ছিলো এইবারের অধিক ফলন ঘুরিয়ে দিবে তার জীবনের চাকা। কিন্তু প্রকৃতির এমন আচারণ ধসে নিয়ে গেলো ত্রিরতন’র স্বপ্ন।
ত্রিরতন চাকমা বলেন, আমি অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমার ৫ একর জমিতে তৈরি করেছিলাম একটি ফলের বাগান। গত বছরের থেকে এইবার অধিক ফলন হয়েছিলো আমার বাগানে। বেশ কিছু দেনা পাওনা রয়েছে আমার। আশা করেছিলাম এইবার ফলন ভালো হওয়ায় সব দেনা পাওয়া শোধ করে আগামী দিনের জন্য কিছু সঞ্চয় করে রাখতে পারবো। কিন্তু পাহাড় ধসে আমার বাগান সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, কত স্বপ্ন ছিলো এই বাগান নিয়ে আমার। অনেক আশা নিয়ে তৈরি করেছিলাম এই বাগান খানা। আমার শরীরের প্রতিটি রক্ত কণায় ছিলো বাগানের মাটি জুড়ে। কিন্তু প্রকৃতির এই বিরুপ আচারণ আমাকে শেষ করে দিয়ে গেলো। আমি এখন কি করবো? কি ভাবে আবারও ঘুরে দাঁড়াবো বুঝে উঠতে পারছি না।
স্বপ্নবুনা এই তরুণ উদ্যোক্তার চোখে মুখে দেখা মিললো প্রকৃতির বিরুপ আচারণের নিঃস হয়ে যাওয়া এক স্বপ্ন বুনা জাল।