ভীতু মানুষের বৈশিষ্ট্য এবং ভয় তাড়ানোর উপায়
সিটিনিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক :: আমেরিকার বিখ্যাত সাইকোথেরাপিস্ট ডায়ানে হেলপার্ন ভীতু মানুষদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি ভীতু মানুষের বৈশিষ্ট্য এবং তা প্রতিকারের চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন তাঁর লেখা ‘FEAR NO MORE‘ বইটিতে। ভীতু ব্যাক্তির মধ্যে তিনি মোট আটটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছেন-
ভীতু মানুষের বৈশিষ্ট্যঃ
এক, ভীতু মানুষেরা অন্যদের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত সজাগ ও সংবেদনশীল থাকে।
দুই, তারা এতই কল্পনাপ্রবণ যে, তাদের চিন্তা মনের মধ্যে ছবির মতো ভেসে উঠে।
তিন, তাদের চিন্তা প্রায়ই হয় নেতিবাচক এবং এ চিন্তা কী ক্ষতি করছে তাও তারা জানে।
চার, নিজেদের উপর তারা আস্থা হারিয়ে ফেলেন।
পাঁচ, বাইরে তারা স্বাভাবিক থাকলেও ভেতরে তারা খুবই অস্থির।
ছয়, নিজেদের অখুশি – অতৃপ্ত রেখেও তারা অন্যদের খুশি রাখতে চায়।
সাত, অন্যরা তাদের নিয়ে কী ভাবছে, সে ব্যাপারে তারা খুবই সচেতন।
আট, তারা সব ব্যাপারেই নিজেদের এড়িয়ে চলতে চায়।
ডায়ানে হেলপার্ন তাঁর রচিত গ্রন্থটিতে ভয়কে তাড়ানোর জন্য কতকগুলো পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। এ পদক্ষেপগুলো জেনে নেয়া যাক-
ভয় তাড়ানোর উপায়ঃ
১) খাবারকে সব সময় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। শরীর যেসব খাদ্য সহ্য করে না সেগুলোকে বাদ দিতে হবে। পুষ্টিকর ও নিয়ন্ত্রিত খাবার শরীর ও মনকে উৎকণ্ঠা ও ভয় থেকে মুক্ত রাখে।
২) নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আনে।
৩) ফিরে আসা ভয়কে চেলেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।
৪) ভালভাবে দম ছাড়া, দম নেয়া ভীষণ কাজ দেবে। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন বাড়বে এবং কোষসমূহ চাপমুক্ত থাকবে।
৫) নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতে হবে। ব্যার্থ হলেও নিরাশ হওয়া যাবে না। সফলতা ধরা দিবেই।
৬) যেসব জিনিসে ভয়, সেগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এড়িয়ে যাওয়া মানে ভয়কে আরো ইন্ধন যোগানো। তাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে।
৭) প্রাণ খুলে হাসতে হবে। হাসি শরীরকে সজীব, সুন্দর ও যেকোনো কাজের উপযোগী করে তোলে।
৮) নেতিবাচক চিন্তা, কথা ও কাজ থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকতে হবে।