নিজস্ব প্রতিবেদক::একের পর এক মামলায় জড়িয়ে গেছেন চট্টগ্রামের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নেতারা বলছেন এ সবই রাজনৈতিক মামলা। সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে এ সব মামলার শিকার হয়েছেন। চট্টগ্রামে এক ডজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জনপ্রতি প্রায় ডজন খানেক মামলা কাঁধে নিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে হবে। তবে তারা সংকিত। কখন এসব মামলার রায় হয়ে যায়। সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে বিএনপির সম্ভাব্য প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে নেতারা এ সবই রাজনৈতিক মামলা বললেও বিএনপির কিছু কিছু হেভিয়েট প্রার্থীর মামলার রায় বের করার কৌশল নিয়েছেন সরকারের একটি সূত্র জানায়।
সূত্র মতে অধিকাংশ মামলার বাদী পুলিশ। কারো কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাও রয়েছে। ১২ নেতার বিরুদ্ধে প্রায় ১২৪ টির উপরে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মামলা রয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রায় ৩৮ টি মামলা রয়েছে। বেশীর ভাগ মামলা রয়েছে সীতাকুন্ড থানায়। তবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মত মামলাও রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী ও চকবাজার থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ্ আল নোমানের বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ৮ টি মামলা। সব কয়টি মামলা ঢাকার পল্টন ও মতিঝিল থানায়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী, সাবেক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা। নগরীর কোতোয়ালী, চকবাজার ও খুলশী থানায় এ সব মামলা রয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ছিল ৩টি মামলা। এর মধ্যে ২টিতে খালাস পেলেও কোতোয়ালী থানায় রয়েছে একটি মামলা। দলের কেন্দ্রীয় ভাইসচেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রয়েছে ১টি মামলা। বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী ও চকবাজার থানায় মোট ৭টি মামলা রয়েছে। চট্টগ্রাম নগর বিএনটির সভাপতি ডাঃ শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় ১৬ টি মামলা। নগরীর কোতোয়ালী, চকবাজার, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও আকবর শাহ্ থানায় এসব মামলা রয়েছে। মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী, চান্দগাঁও, বন্দর ও খুলশী থানায় মামলা রয়েছে ১২ টি। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবে। নির্বাচনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করছেন। বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি সারাদেশে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের কাজও সেরে ফেলছেন। সে ক্ষেত্রে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা রাজিৈতক মামলা হামলার শিকার হয়েছেন যাদের এলাকায় গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে তাদের নাম প্রথম কাতারে রেখেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৬টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রায় ৩৫ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে যারা আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার হয়েছেন, একাধিক মামলার বোঝা টানছেন তাদের মনোনয়ন এক প্রকার চুড়ান্ত। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং,খুলশী, পাহাড়তলী, হালিশহর ও পাঁচলাইশ আংশিক আসনে আব্দুল্লাহ্ আল নোমান, বন্দর-পতেঙ্গা আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসনে ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন, সীতাকুন্ডে আসলাম হোসেন চৌধুরী, বাঁশখালীতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়ায় গাজী শাহজাহান জুয়েল, হাটহাজারী আসনে মীর নাসির উদ্দিন, রাউজান আসনে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে কারা নির্যাতিত নেতা আবু সুফিয়ান মনোনয়ন পাবেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।