কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড::টানা বৃষ্টির ফলে সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।বৃষ্টিতে পৌর সদরের উপজেলা পরিষদ, দক্ষিণ আমিরাবাদ, দক্ষিণ মহাদেবপুর, চৌধুরী পাড়া, দাশ পাড়া, পশ্চিম মহাদেবপুর, ইদিলপুর, শিবপুর, নলুয়া পাড়া, মৌলভী পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, ফকির হাট এলাকা, মধ্যম মহাদেবপুর, সোবহানবাগ শেখনগর, পেশকার পাড়া ও সীতাকুণ্ড নামার বাজার এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে ঘরের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে ।
এছাড়া পানি ঢুকে শতাধিক পুকুর থেকে বেরিয়ে গেছে লক্ষ টাকার মাছ। আমন ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান একাধিক কৃষক। টানা বৃষ্টির ফলে ডুবে গেছে রান্না ঘর ফলে বাড়িঘরে রান্নার চুলোয় জ্বলছে না আগুন। মানবতের জীবন-যাপন করছে অনেক পরিবার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ,অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল-নালা-নর্দমা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ না করার কারণে বৃষ্টিতে বাড়ি ঘরে পানি উঠে গেছে। অনেককে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। পৌর নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খালের বিভিন্ন অংশে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন ধরে বৃষ্টি কম থাকায় কমতে শুরু করেছিল বন্যার পানি।
তবে আজ সকাল থেকে আবারো থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় বন্যার পানি কমাতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে আবার বাড়তে শুরু করেছে বন্যার পানি। এতে বলার অপেক্ষা রাখেনা সীতাকুণ্ডের প্লাবিত এলাকার মানুষ কতটুকু দুর্ভোগে রয়েছে। সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা মো: এছাক জানান, আমরা দিন আনে দিন খায়। একদিন কাজ না করতে পারলে একদিন চলতেই কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টি আর বন্যার কারনে গত কয়েকদিন ধরে কাজ করতে না পারায় অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। ঘরে হাটু পরিমান পানি, বাইরে কোমর সমান, কোন কোন দিক দিয়ে আরো বেশি পানি। এই অবস্থা আরো বেশিদিন চলতে থাকলে আমাদের কি হবে ?
এ বিভাগের আরও খবর