কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে সরকার-ফরিদ মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিনিধি,সিটিনিউজ :: কৃষিখাতে এদেশে যে বিপ্লব সাধিত হয়েছে এই কৃতিত্ব মহাজোট সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার।
সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে গত আট বছরে এই সরকারের উদ্যোগ ছিল প্রশংসনীয়। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে কৃষকদের দশ টাকা জমার বিনিময়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলা ব্যবস্থা করে প্রায় এককোটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে কৃষকদের নগদ সহায়তা প্রদান করেছিল।
৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রাম আয়োজিত বিপ্লবী চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সংগঠনের সহযোগীতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দশটি উদ্যোগ ও সরকারের সাফল্য জনগণকে অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবক ফরিদ মাহমুদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বর্তমান সরকার রাসায়নিক সারের দাম দফায় দফায় কমিয়ে কৃষকদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে এসেছে।
পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত বিদুৎতের উপর চালু করা হয়েছে ভর্তুকি। বিশ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয় কৃষি যন্ত্রপাতির। মোট বাজেটের প্রায় সাড়ে চার শতাংশ ব্যয় করা হয় কৃষি ভর্তুকি খাতে।
কৃষি ঋণের সুদের হার হ্রাস করা হয়। নতুন প্রযুক্তির ধারন ও বিকাশ উৎসাহিত করা হয়। পানি সেচের আওতাবৃদ্ধি পায় মোট আবাদি জমির সত্তর শতাংশ।
উচ্চ ফলনশীল জাতের আওতায় আগে প্রায় আশি শতাংশ ধানি জমি। যার ফলে খাদ্য শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
ফরিদ মাহমুদ আরও বলেন, ২০০৮-২০০৯ সালে এদেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৩৩৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৯০ লাখ মেট্রিক টন।
গমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে ১৪ লাখ মেট্রিক টনে,ভুট্রার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টন থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন, আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ কোটি টাকা মেট্রিক টন থেকে এখন ১ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে গেছে।
২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এদেশে সবজি উৎপাদন প্রতিবছর গড়ে পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে চীন ও ভারতের পর বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, এখন শিক্ষিত তরুনরা আধুনিক সবজি ও মৎস্যচাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নিজ উদ্যোগ গড়ে তুলছে সবজি ও মৎস্যখামার ও ফলজ বাগান।
মৎসখাতে ২০০৭-২০০৮ সালে মোট উৎপাদন ছিল ২৫ লক্ষ টন। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৮ লক্ষ টন। মৎস খাতে বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হাত বছরে ছয় শতাংশ। বর্তমানে চিংড়ি, ইলিশ, আলু রপ্তানি করে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
এই সরকারের আমলে পাটের জন্ম রহস্যে উম্মোচন ও অর্জন করেছে। পাট ও আলুকে ঘিরে এদেশে গড়ে উঠেছে নিজ নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান। আলু এবং পাটের বহুমুখি ব্যবহারের কারণে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আবদুল আলী নগরস্থ দি নিউ ইলেভেন স্টার ক্লাব হলে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম রাসু।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক দিন মোহাম্মদ বাদশার পরিচালনায় সম্মানীয় অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগ সদস্য মো: নুরুল আফসার মিঞা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো: এরশাদ মামুন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ সদস্য শেখ নাছির আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক মোজাফফর আহমেদ মাসুম, আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমেদ জাহেদ, আনোয়ার হোসেন, আশরাফুল গণি।
সভার শুরুতে জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা অনুষ্ঠানের শুরুতে চট্টগ্রাম জেলা তথ্য অফিস কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আজম, মোঃ বদিউল আলম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দশটি উদ্যোগ একটি বাড়ী একটি খামার, আশ্রয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্র, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, বিনিয়োগ বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষা প্রসঙ্গে উপস্থিত সকলকে বিশদভাবে বর্ণনা করেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইমোর হোসেন ভোর, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদুল ইসলাম সুমন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো: মামুন, মো: ফরহাদ হোসেন খোকন, মো: সোলায়মান সালমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: এমরান, আবদুর রশিদ লেদু, মহানগর যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিন সুমন, অলিউর রহমান সোহেল, আফগানি বাবু, রাশেদ চৌধুরী, ইয়াছিন ভূইয়া, ডাঃ আবদুল মান্নান, আনিসুর রহমান মামুন, বাবলু দাশ, জালাল আহমেদ, হাজী নুরুজ্জামান, মো: শামীম, জসিম উদ্দিন বাদল, মো: ইউনুছ প্রমুখ।
সভার দ্বিতীয় পর্বে প্রজেক্টরের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিভিন্ন কর্মসূচির উপর নির্মিত প্রামান্য চিত্র প্রর্দশন করা হয়।