চুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠিত
সিটিনিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (পুরকৌশল) বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের বিদায় (ফেয়ারওয়েল) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পুরকৌশল ভবনের সামনে থেকে সকাল ১১টায় আনন্দ র্যালীর মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের সাবেক উপাচার্য প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ হযরত আলী, বেপজা’র সাবেক বোর্ড মেম্বার (প্রকৌশল) জনাব প্রকৌশলী এ.এ.এম জিয়া হোসেন, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দীন চৌধুরী, পুরকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রহমান ভূইয়াঁ ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চুয়েটকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
সেজন্য গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি অনুমোদিত ৩২০ কোটি টাকার ডিপিপি বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চুয়েট গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আরো বলেন, বর্তমানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজের বহুমূখী ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। চুয়েট থেকে পাস করা সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা দেশের পাশাপাশি এখন বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতেও ভূমিকা রাখছেন।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চুয়েটের শিক্ষার্থীরা আরো বেশি অবদান রাখছেন।
এদিকে এ উপলক্ষ্যে পুরকৌশল বিভাগের সেমিনার কক্ষে “সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়া পৃথক দুটি টেকনিক্যাল সেশনে ‘ফ্লেক্সারাল ক্যাপাসিটি অ্যাসেসমেন্ট ফর আরসি বীম্স রেইনফোর্সড উইথ কার্বন ফাইবার পলিমার’ শিরোনামে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম এবং ‘হিস্ট্রি অব সিমেন্ট’ শিরোনামে রয়্যাল সিমেন্ট লিঃ এর ডিজিএম জনাব দাউদ করিম পেপার প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।
এরপর সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিলো রয়েল সিমেন্ট লিমিটেড।