মিথ্যা স্লোগান দিয়ে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করছে

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে কালো অধ্যায়ের সূচনা ঘটিয়েছে। প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে, সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দলীয় প্রভাবের আওতায় এনে প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে বিভেদ গড়ে তুলেছে। উন্নয়নের জোয়ারের মিথ্যা স্লোগানে জনগণকে প্রতারিত করার মধ্যদিয়ে প্রকৃতপক্ষে জনগণের অধিকার হরণ করে চলেছে।

রোববার (৬ আগস্ট) বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন

সংগঠনের কাঠামো শক্তিশালী করার মাধ্যমে আগামী দিনে স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে রাজপথে জোরালো অবস্থান গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে। যারা পুরোপুরি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হত্যা করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে পাশাপাশি জনগণের মৌলিক অধিকার খর্বিত করে ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়ে বেআইনীভাবে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে চলেছে। জনগণের প্রতি যাদের বিশ্বাস নেই তারাই প্রকৃতপক্ষে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিপরীতে স্বৈরতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চিন্তা চেতনায় অবৈধ স্বপ্নের মোহে থাকে।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির শুদ্ধধারা গড়ে তোলা সময়ের দাবী। জনগণের চাহিদা ভিত্তিক মৌলিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে আগামীতে আওয়ামীলীগের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার যে নজির বিহীন স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, জনগণকে সাথে নিয়ে এই অবৈধ সিংহাসনের আস্ফালনকে বিএনপি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হশেম বক্কর বলেন, রাজনীতিতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে বিচারপতিদের রায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাশীন হওয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদালতের যেসব সিদ্ধান্ত ও পর্যবেক্ষণ তাদের পছন্দ হয়েছে সেগুলোকে সানন্দে গ্রহণ করছে। নিজেদের স্বার্থে কখনো তারা সংবিধানের দোহাই দিয়েছেন। কখানো আবার আদালতের দোহাই দিয়ে কার্যসিদ্ধি করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করতে গিয়ে বিচারপতি খায়রুল হক এর ত্রোয়দশ সংশোধনী বাতিলের রায় ও পর্যবেক্ষণকে তারা তাদের স্বপক্ষে বড় যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছিল। অথচ সংখ্যাগরিষ্ট রায়ে আপীল বিভাগ দুটি সংসদীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে হতে পারে বলে যে মত দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ তা মানেনি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি এম. আজিজ, মোহাম্মদ আলী, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কী, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, এম. এ হান্নান, শফিকুর রহমান স্বপন, সোহরাব কোম্পানী, সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মো. ইকবাল চৌধুরী, এড. আবদুস সাত্তার সরোয়ার, এস.এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক এস.এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, এসকান্দর মির্জা, আর. ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশারফ হোসেন দ্বিপ্তী, টিংকু দাশ, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.