মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতায় শেকলমুক্ত হলো বিলকিস
নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিনিউজ :: প্রায় ২ বছর ধরে বিলকিস শেকল পায়ে বন্দী। পায়ে শেকল নিয়ে খাটে বসে থাকে।চিকিৎসার পরিবর্তে চলেছে ঝাড় ফুক। ভাই বোন ২ জনই চাকরিতে চলে যায়। গত পরশু বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ইপিজেড থানার নেতৃবৃন্দ এই সংবাদ পান।
রোববার (০৬ আগস্ট) কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমিনুল হক বাবু ইপিজেড থানা মানবাধিকার কমিশন এর সার্বিক সহযোগী তায় বিলকিস কে শেকল মুক্তি করে স্বাধীনতার স্বাদ দেন।
শুধু শেকল-তালা ভেঙেই দায় সারেননি তারা, সেই মাধবীর মতো বিলকিসকেও নিয়ে গেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগে। চিকিৎসা ও ওষুধপথ্যের ব্যবস্থা করে দেন।
মানুষের সচেতনতায় আনতে পারে পরিবর্তন,অধিকাংশ মানসিক রোগীর চিকিৎসা সম্ভব। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে বিনা খরচে এ সব রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে।
তাই সামান্য সমস্যাতে ঝাড় ফুক এবং শেকল বন্দী না করে ডাক্তার এর শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিলকিসের বাড়ী বি-বাড়ীয়ার আশুগঞ্জ, থাকেন সিমেন্ট ক্রসিং বড় বাড়ীর শেষ মাথা সানি বিল্ডিং এ। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দুই বোন এক ভাই থাকে এখানে। বিলকিস ৫ বছর আগে টিবি রোগে আক্রান্ত হয় এবং পরবর্তীতে মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশন ইপিজেড থানার নির্বাহী সভাপতি আবদুল মালিক,সাধারন সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন,যুগ্ন সম্পাদক আজাদ হোসেন রাসেল,স্বাস্থ্য সম্পাদক খান মোহাম্মদ সাইফুল,গবেষনা সম্পাদক ইকবাল হোসেন সুমন সহ কমিশনের ইপিজেড থানা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মানসিক রোগ বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার সালেহ উদ্দিন তার চিকিৎসা করেন এবং তিনি বলেন এই রোগী বাসায় ঔষধ এবং যত্ন পেলে সুস্থ হয়ে যাবে।
আনুমানিক ২৮ বছরের বিলকিস কে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ এবং কথা বলে দেখা যায় কথা বার্তায় সামান্য অসংগতি থাকলেও আচরনগত দিক থেকে সে অত্যন্ত স্বাভাবিক।
তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো মানবাধিকার কমিশন সদর দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি আমিনুল হক বাবুর সার্বিক সহযোগী তায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ইপিজেড থানা শাখার নেতৃবৃন্দ।