সিটিনিউজবিডি : ঘূর্ণিঝড় কোমেন ও টানা বর্ষণ প্রভাবে পতেঙ্গা বেড়িবাঁধের তিনটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।
ফের বর্ষণ শুরু হলে অথবা জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে বাড়িঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড নতুন করে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করে। প্রকল্পের আওতায় নেভাল অ্যাকাডেমি থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা পর্যন্ত এক কিলোমিটার আরসিসি দেয়াল নির্মাণ, সৈকত থেকে আহমেদ পাড়া পর্যন্ত সিসি ব্লক এবং সেখান থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পর্যন্ত মাটির বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়।
তবে পতেঙ্গা অংশের বেশির ভাগ ব্লকই বর্তমানে নেই। এলাকাবাসী কোন রকমে বালির বস্তা ও বাঁশ দিয়ে বাঁধটি রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
এলাকাবাসী জানায়, ঘূর্ণিঝড় কোমেন ও প্রবল বর্ষণের ফলে বঙ্গোপসাগরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পতেঙ্গার খেঁজুরতলা, চরপাড়া ও মুসলিমাবাদ এলাকার প্রায় তিনশ ফুট বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয়রা কিছু বালির বস্তা দিয়ে বেড়িবাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে। শীঘ্রই বেড়িবাঁধটি মেরামত করা না হলে যেকোন সময় এটি ভেঙে পানি লোকালয় ভাসিয়ে নিতে পারে।