চট্টগ্রাম অফিস : দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জসহ চাকতাই-আছাদগঞ্জ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় কোমেন’র প্রভাবে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং জোয়ারের ফলে । এতে নিত্যপণ্যের প্রচুর গুদাম ও সহস্রাধিক দোকানপাট তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। বৃষ্টি কমে যাবার পরও প্রতিদিন চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিন সাবেক নগর পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে জোয়ার ও বৃষ্টির পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত আড়ত এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। মহিউদ্দিন সেখানে গেলে ব্যবসায়ী নেতারা তাকে স্বাগত জানান। পরিদর্শনের পর তিনি খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমেদের ব্যবসায়িকত প্রতিষ্ঠানে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
সভায় মহিউদ্দিন চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সাম্প্রতিক দূরবস্থার জন্য হঠাৎ কাপ্তাই বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়া এবং অপরিকল্পিত কর্ণফুলী খননকে দায়ী করেছেন। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকালে মহিউদ্দিন খাতুনগঞ্জে যান।
সভায় মহিউদ্দিন বলেন, হঠাৎ করে কাপ্তাই বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে চাক্তাই খালে পানিপ্রবাহ বেড়ে গেছে। জোয়ার এলে পানি দোকানে-গুদামে ঢুকে পড়ছে। অতীতে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী ড্রেজিংয়ের কাজ পরিকল্পনামাফিক করা হয়নি। এজন্য চাক্তাই খালের মোহনায় প্রচুর পলি জমে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক মীর আব্দুস সালাম, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, বক্সিরহাট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী নূরুল হক ও একই ওয়ার্ড শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী নূরুল আমিন শান্তি, চট্টগ্রাম ডাল মিল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আহমদ রশিদ আমু ও সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ্ময় চৌধুরী কাজল এবং আড়তদার কল্যাণ সমিতির নূর হোসেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আমাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত এমপি, মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিদের কেউ আমাদের দেখতে আসেননি। একমাত্র রাজনীতিবিদ হিসেবে সাবেক মেয়র ব্যবসায়ীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সাবেক মেয়রকে পেয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন, আবার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চারও হয়েছে।