এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান::রাউজানে সোমবার গভীর রাতে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। জানাগেছে হলদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাহেদুল আলম হিরুকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন তিন মুখোশপড়া বন্দুকধারী সহ ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত। এই ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
একটি সুত্র বলছে সাবেক যুবলীগ নেতা নাছির হত্যাকান্ডের মামলায় জড়িত জেলখেটে আসা এবং পলাতক কয়েকজন আসামী সহ স্থানীয় দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
তবে যুবলীগ নেতা হিরুকে বন্দুকদিয়ে হত্যার জন্য তিনবার গুলি চালানোর চেষ্টা করেও বন্দুকধারীরা ব্যর্থ হন। এতে প্রাণে বেচেঁযান এই যুবলীগ নেতা। যুবলীগ নেতা হিরু জানান সোমবার রাত সোয়া ২টা নাগাদ পুলিশের এস আই সায়মুল পরিচয় দিয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। আমি আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে জানতে চাই আপনারা কারা। তখন মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা বলে আগে ঘর থেকে বের হও। তখন আমি বলি বাহিরে কেন বের হব,কথা থাকলে জানালা দিয়ে বলেন। ততক্ষনে দুর্বৃত্ত দলের কয়েকজন আমার সামনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন তিনজন মুখোশধারী আমাকে বন্দুকদিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে।
কিন্তু তারা আমাকে তিনবার গুলি করার চেষ্টা করে কিন্তু একবারও গুলি বের হয়নি। গুলি করতে ব্যর্থ হয়ে আমাকে ঝাপটে মাটিতে পেলে দেয়। তখন আমার স্ত্রী পারভীন আকতার তাদেরকে দা দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তারা রক্তাক্ত হয়ে আমাকে ছেড়েদিয়ে পালিয়ে গেলেও অন্য দুর্বৃত্তরা আমার ঘরে রক্ষিত ৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২২ হাজার টাাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর বাড়ীর মানুষজন সহ আশেপাশে তল্লাশি করে তাদের আর পাওয়া যায়নি। যুবলীগ নেতা হিরুর স্ত্রী পারভীন আকতার সাংবাদিকদের জানান তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমার স্বামীকে হত্যা করা। কিন্তু তারা হত্যায় ব্যর্থ হয়ে আমার ব্যবহৃত আলমিরাতে রক্ষিত ৭ ভরি স্বর্ণলংকার ও নগদ ২২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পর পরই রাত ৩টার দিকে রাউজান থানার ওসিসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘরের উঠান থেকে ৩টি তাজাগুলি উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাউজান-রাঙ্গুনীয়ার এএসপি সার্কেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানান থানার ওসি।