চকরিয়া প্রতিনিধি::কক্সবাজারের চকরিয়ায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আবুল হাসেম (৪৫) নামে ৩ সন্তানের জনক মালয়েশিয়া প্রবাসি এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের জালিয়াপাড়াস্থ নিজ বাড়ির ভেতর থেকে চকরিয়া থানা পুলিশ হাশেমের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ টি উদ্ধার করেছে। নিহত ব্যক্তি ওই এলাকার মৃত আবদু রাজ্জাকের পুত্র বলে জানা গেছে। বিগত ৭ মাস সে পূর্বে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে।
পরিবারের দাবী ২৭ আগষ্ট রাত ১০ টায় হাশেম রুমের ভেতরে ঢোকে দরজাবন্ধ করে রেখে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে এলাকাবাসীর দাবী স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমেবাধা দেয়ায় স্বামীকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।
জানাগেছে মালয়েশিয়া প্রবাসি আবুল হাশেমের সাথে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে একই এলাকার হাজী সৈয়দ আহমদের মেয়ে খতিজা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩ টি সন্তান ও রয়েছে। পরিবারের সূখ শান্তির কথা বিবেচনা করে হাশেম প্রায় ৭ বছর পূর্বে মালয়েশিয়া পাড়ি দেয়। স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতে স্ত্রী খতিজা বিভিন্ন পুরুষের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
এরই মধ্যে স্বামীর পাঠানো টাকায় খতিজা নিজের নামে জমি ক্রয় সহ বিভিন্ন সম্পদের মালিক বনে যায়। এমন কি স্বামীর কষ্টার্জিত অর্থে নিজের নামে ক্রয়কৃত জমিতে দু’ত্বলা একটি ভবন ও নির্মান করে ফেলে। স্ত্রীর পরকিয়া প্রেম ও তার নামে সমস্ত সম্পদ করে ফেলার এ খবর শুনে আবুল হাশেম ৭ মাস পূর্বে দেশে চলে আসে।এ নিয়ে শুরু হয় স্বামী – স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি। স্ত্রীর এ ধরনের বেপরোয়া আচরনে হাশেম এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিচার দিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি।
নিহতের আত্বীয় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন টিপু জানিয়েছেন, আবুল হাসেমকে হত্যার পর গলায় রশি পেছিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। হত্যাকারীদের শাস্তি চেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক গৌবিন্দ পুলিশদল ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে সাথে নিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছেন। ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য।