স্বেচ্ছাসেবক তরুণদের মাঝে সেনাবাহিনীর সম্মাননা প্রদান

0

সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি,সিটিনিউজ :: ১৩ জন রাঙামাটিতে সংগঠিত হওয়া পাহাড় ধ্বস ঘটনায় প্রশাসন, সরকারি ও বেসরকারী সংস্থার পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছিলো একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক। সে সব তরুণদের মহৎ কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ তাদের মাঝে সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সমুন্নত বিশ রাঙামাটি রিজিয়ন।

মঙ্গলবার(২৯ আগস্ট) সকালে রাঙামাটি সেনানীবাস ব্রিগেট সংলগ্ন মিলনায়তনে ৭০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবককে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: গোলাম ফারুক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, সদর জোন কমান্ডার রেদওয়ানুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, কর্ণেল মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ পাভেল আকরাম, রাঙামাটি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর তানভীর সহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।

আলোচনা সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, ১৩ জুন রাঙামাটিতে যে পাহাড় ধস হয়েছিলো তার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না, এমন কি এতটা ভয়াবহ হবে তা আশাও করিনি। সে দিনের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো রাঙামাটিতে তা স্মরণ থাকবে আমাদের সকলের। সে দিন যদি প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন সংস্থা ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে না আসত তবে জেলা প্রশাসনের একার পক্ষে এত বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব ছিলো না।

তিনি আরো বলেন, পাহাড় ধস দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজে অধ্যায়নরত তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা ছিলো স্বীকৃতি পাওয়ার মত। আশা করবো আগামীতে এমন দুর্যোগ মোকাবেলায় তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে আসবে। প্রশাসনের সাথে তাল মিলিয়ে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: গোলাম ফারুক বলেন, তরুণরা হচ্ছে দেশ ও জাতির শক্তি। বিভিন্ন সময় দেখা যায় দেশের মঙ্গলের জন্য এই তরুণরা দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। রাঙামাটিতে সংগঠিত হওয়া পাহাড় ধ্বস ছিলো সকলের অপ্রতাশিত ঘটনা। এটার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলো না। তবুও পাহাড় ধ্বসের পরে সেনাবাহিনীর ৪ কর্মকর্তা সহ ১২০ জন যখন মারা যায় এবং আশ্রয় কেন্দ্রে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে হাজারো মানুষ। তখন তাদের সেবায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়–য়া তরুণ স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। তাদের অগ্রণী ভূমিকা ছিলো প্রশংসা করার মত।

তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতি তরুণদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যশা করে। তাই আশা করবো আগামীতে এমন দুর্যোগে সকল তরুণ স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ এক সাথে কাজ করবে। আলোচনা সভার শেষে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে সনদপত্র এবং সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.