বোয়ালখালীতে গরু চোর চক্রের সন্ধান : অভিযানে উদ্ধার গরু ছাগল
বোয়ালখালী প্রতিনিধি,সিটিনিউজ : বোয়ালখালীতে দুই গরু চোরকে গ্রেপ্তারের পর গরু চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে থানা পুলিশ। এছাড়া উপজেলায় ইসমাইল নামের নিহত যুবক চোর চক্রের সদস্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী।
গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের খেজুরতল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে অটো রিকশা থেকে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে মেলে গরু ছাগল ও ভেড়া চুরির নানা তথ্য।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওর্য়াডের সূর্য মোহন বড়ুয়া বাড়ীর মন্টু বড়ুয়ার ছেলে তুষার বড়ুয়ার গরু সিএনজি চালিত অটো রিকশা করে গ্রেফতারকৃত পটিয়া উপজেলার চরখানাই ফুলতল এলাকার আবদুচ সালামের ছেলে রায়হান উদ্দিন বাদশা (২২), পশ্চিম কালুরঘাট পাঠানপাড়ার খান বাড়ীর মো. আলী আকবরের ছেলে আশরাফ আলী (৩০), পালিয়ে যাওয়া পশ্চিম শাকপুরা ৩নং ওয়ার্ডের শেখ আমহদ চেয়ারম্যান বাড়ীর মৃত দেলা মিয়ার ছেলে মনির (৩৫) প্রকাশ মনিরা কসাই, কসাই মনিরের কর্মচারী, পশ্চিম শাকপুরা আজগর আলী বাড়ির ইব্রাহীমের ছেলে ইসমাইল (২৮) মিলে চুরি করে। এরপর দ্রুত অটো রিকশা নিয়ে পালিয়ে আসার পথে ইসমাইল অটোরিকশা থেকে পড়ে যায়।
পরবর্তীতে পোপাদিয়া ইউনিয়নের খেজুরতল এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে চোরাই গরুসহ রায়হান উদ্দিন বাদশা (২২), পশ্চিম কালুরঘাট পাঠানপাড়ার খান বাড়ীর মো. আলী আকবরের ছেলে আশরাফ আলী (৩০) বাকি দুইজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আমুচিয়া ইউনিয়নের হরিমোহন মাষ্টার পোল এলাকায় পড়ে থাকা যুবক ইসমাইলকে স্থানীয়রা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রাতে তুষার বড়ুয়ার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে পশ্চিম শাকপুরা কসাই মনিরের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ছোট বড় মিলিয়ে ৯টি গরু, ১২টি ছাগল ও ৭টি ভেড়া উদ্ধার করা হয় বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। তবে মনির ও তার কর্মচারী পালিয়ে যায়।
ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ছোট যানবাহন ব্যবহার করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও ভেড়া চুরি করে আসছিল। তারা হোটেল রেস্তোরা ও নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে মাংস বিক্রি করে ভাগবাটোয়ারা করতো। দক্ষিণ চট্টগ্রাম জুড়ে তাদের বিশাল চক্র রয়েছে বলে জানান ওসি।