রোহিঙ্গা সমাধানে ঢাকা আসছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: রোহিঙ্গা বিষয় সমাধানের জন্য বাংলাদেশে আসছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এলপি মারসুদি।তবে এর আগে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি মিয়ানমার গিয়ে সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা যায়।

একইসঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়েও দেশটির অবস্থার জানবেন রেতনো মারসুদি।এরপর মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি সেখান থেকে বাংলাদেশে আসবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে রেতনো মারসুদি ফোনে কথা বলেছেন এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে সমাধানে আলোচনার কথা জানান।

এসময় রেতনো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

রেতনো মারসুদি জানান, বাংলাদেশ সফরের আগে তিনি মিয়ানমার সফর করবেন। তিনি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিউ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

রোহিঙ্গাদের উপর চলমান অত্যাচার-নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার বিক্ষোভ ছড়িয়েছে জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।

মূলত এরপরই মিয়ানমার সরকারকে নির্যাতন বন্ধের তাগাদা দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদিকে পাঠানো হয়েছে সেখানে।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মিয়ানমার দূতাবাসে পেট্রোল বোমা হামলার পর রোববার এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

ইন্দোনেশিয়ায় ২০ কোটির বেশি মুসলিমের বাস। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের খবরে এই মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে মিয়ানমারের নেতা শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সূ চির ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা রয়েছে। রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টরা শনিবার ইন্দোনেশিয়ায় তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আন্দোলনও করেছেন।

রোববারও সেই আন্দোলন চলে। ওই আন্দোলন থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকাল লঙ্ঘন ঠেকাতে ইন্দোনেশিয়া সরকারের জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার দাবিও জানানো হয়।

উইদোদো বলেছেন, জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষগুলোর সঙ্গে ‘নিবিড় যোগাযোগের’ জন্য মারসুদিকে মিয়ানমার পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরের মাসে রেতনো মারসুদি বাংলাদেশ সফর করেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে মিয়ানমারে রাখাইনের সীমান্ত চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার পর সশস্ত্রবাহিনী ব্যাপক নিধনযজ্ঞ শুরু করে।

ওই ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। গত বছরের এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই রেতনো মারসুদি বাংলাদেশ এসেছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.