কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড::মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্হানে।এমনি ১৮ জন রোহিঙ্গা টেকনাফ-কক্সবাজার থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির পাক্কা মসজিদ এলাকায়।
গতকাল নারী শিশুসহ ১৮ জনকে পুলিশ ফেরত পাঠিয়েছে টেকনাফে। জানা যায়,উপজেলার ৮ নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাক্কা মসজিদ এলাকার মর্ডান ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন পাহাড়ে দীর্ঘ প্রায় ১৫/২০ বছর যাবৎ প্রায় ১০/১৫ রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করে আসছে। তাদের সূত্র ধরে বর্তমানে এই ১৮ জন রোহিঙ্গা এখানে আসে। এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ রোহিঙ্গা আসার বিষয়টি টের পেয়ে প্রশাসনকে জানালে পুলিশ সেখানে উপস্হিত হয়ে তাদেরকে আটক করে টেকনাফে ফেরত পাঠায়।
সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ফোরকান উদ্দিন বলেন, পাক্কা মসজিদ এলাকার পাহাড়ে যে মডার্ন ব্রিক ফিল্ডটি আছে সেটার মালিকই মুলত একজন রোহিঙ্গা। তার ইট তৈরীর এই ফ্যাক্টরীতে কর্মরত বেশিরভাগ শ্রমিক রোহিঙ্গা। পাহাড়ের বিশাল জায়গা জুড়ে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে বহু ঘর। আর এই ঘরগুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ বাস করছে প্রায় ১৫/২০ পরিবার। মুলত এই ব্রিকস ফিল্ড এলাকায় থাকা উক্ত ফ্যামিলীর সূত্র ধরেই বর্তমানে গোপনে টেকনাফ থেকে রোহিঙ্গারা এখানে আসছে।
তিনি আরো বলেন, এখন থেকেই রোহিঙ্গাদের আসা যদি প্রতিরোধ করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে এটা বড় মহামারী আকার ধারন করবে। মডার্ন ব্রিকস ফিল্ডে এলাকার কোন মানুষকে চাকুরী দেয় না মালিক।সব শ্রমিক রোহিঙ্গা। এলাকায় রোহিঙ্গা আসার কথা স্বীকার করেে সোনাইছড়ির বাসিন্দা চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলশাদ বলেন, আমি স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি সোনাইছড়ির মডার্ন ব্রিকসের আশপাশে ও বিভিন্ন স্থানে কয়েক’শ রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, এসব রোহিঙ্গারা খুবই অপরাধপ্রবণ। তাই এদেরকে যদি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায় তাহলে এ এলাকায়
অপরাধ বহুগুন বেড়ে যাবার আশংকা রয়েছে।
সীতাকুন্ড থানার ওসি মো. ইফতেখার হাসান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মডার্ন ব্রিকসে এক রোহিঙ্গার সূত্রধরেই মিয়ানমারে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা মডার্ন ব্রিকসে চাকুরি পাবার আশায় এসে উপস্থিত হয়।
এ বিভাগের আরও খবর