নির্দিষ্ট ক্যাম্প ছাড়া ত্রাণ বিতরন করা যাবে না: জাহিদ হোসেন
শহিদুলইসলাম,উখিয়া,সিটিনিউজ :: টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক বলেন নির্দিষ্ট ক্যাম্প ছাড়া ত্রাণ বিতরন করা যাবে না। কেউ বিতরন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ককসবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে যত্রতত্র ত্রাণ বিতরনের ফলে চরম বিশৃংখলা চলছে।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ও স্থানীয় সামাজিক, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেন।
কক্সবাজার -টেকনাফ অারকান সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভীড় করছে। পাহাড়ে -বনে, জংগলে বস্তি স্থাপন করলেও পরিবারের পুরো সদস্যরাই সকাল হলেই নেমে পড়ে রাস্তায়। রাত হলেই ফিরে নিকটস্থ বস্তিতে। এভাবেই দিনের পর দিন যাচ্ছে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে।
কিন্তু রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে যানবাহন থেকে এইসব ত্রাণ বিতরনের ফলে সঠিক ভাবে রোহিঙ্গাদের মাঝে এই ত্রাণ বন্ঠন হচ্ছে না।
বরং রাস্তাঘাটে যানবাহন থেকে এই সব ত্রাণ সামগ্রী নিক্ষেপের ফলে হুড়াহুড়ি করে ত্রাণ নিতে গিয়ে শক্ত সামর্থ্যরাই এই ত্রাণ ধরতে পারছে আর যারা দূর্বল তাদের কাছে এই ত্রাণ পৌঁছছে না।
আবার একই ব্যক্তি একাধিক ত্রাণের প্যাকেট লুফে নিচ্ছে। কাড়াকাড়ি করে ত্রাণ নিতে গিয়ে আহত হচ্ছে অনেকে। সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়ে স্থানীয়দের চলাচলে চরম ভোগান্তিতো রয়েছেই।
এছাড়া এভাবে ত্রাণ বিতরণের ফলে রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট ক্যাম্পে যেতেও গরিমসি করে যাচ্ছে। এছাড়া আগে থেকে আসা রোহিঙ্গারাও ত্রাণের আসায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে।
ফলে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরুপ ঘটনাও ঘটছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে রোহিঙ্গাদের চাহিদা না বুঝে ত্রাণ বিতরণের ফলে সে ত্রাণ তাদের কোন কাজে আসছে না।
বিভিন্ন ব্যক্তি-সংস্থা কর্তৃক বিতরনকৃত কাপড় চোপড় যা রোহিঙ্গারা পরিধানে অভ্যস্থ্য নয় এমন কাপড় বিতরনের ফলে রোহিঙ্গারা এসব কাপড় সড়কে ফেলে দেওয়ার ফলে টেকনাফে সড়কের যেখানে সেখানে কাপড়ের স্তুপীকৃত হয়ে পড়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ত্রাণ বিতরণ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুতুপালংয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।