মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

0

মিরসরাই প্রতিনিধি::মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম গড়িয়াইশ গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে ওই গৃহবধূ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মিরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (নম্বর-২০৭) দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৬ বছর পূর্বে করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়ামারা আদর্শ গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের কন্যা ফারজানা আক্তারের সাথে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মধ্যম গড়িয়াইশ গ্রামের শরআলী ভূঁইয়া বাড়ির মাহবুল হকের পুত্র নজরুল ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে আরো টাকাও অন্যান্য জিনিসপত্র বাবার বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন চালায়। ইতিপূর্বে পারিবারিকভাবে কয়েকদফা বৈঠক বসে।

সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স ফারজানার স্বামীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা করে দেন। কিন্তু পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ফারজানাকে নির্যাতন করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যম গড়িয়াইশ এলাকার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ছখিনা বেগম উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠকে মিলিত হন। তবে শালিশী বৈঠকে কোন সুরাহা না হওয়ায় গ্রাম্য আদালতে ইউনিয়ন পরিষদে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হয়। ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করার জন্য গেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন ও ইউপি সদস্য আলম ফারজানাকে থানার শরনাপন্ন হওয়ার জন্য বলেন। তারই প্রেক্ষিতে ফারজানা বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় শ্বাশুড়ী ছেমনা খাতুন, দেবর জাকার হোসেন, ননদ সুমি আক্তার, স্বামীর বড় বোন ফরিদা বেগম, রাফেয়া আক্তার, সাজেদা আক্তার, মর্জিনা আক্তারকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন।

নির্যাতিত গৃহবধূ ফারজানা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় বিভিন্ন অযুহাতে আমাকে শ্বশুর পক্ষের লোকজন শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিষ্ট হয়ে থানার শরনাপন্ন হই। শ্বশুর পক্ষের লোকজন আমি মামলা করলে আমাকে হত্যার হুমকি দেন। বর্তমানে আমি আমার ২ সন্তান নিয়ে বিপাকে আছি।

মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) তমিজ উদ্দিন বলেন, ফারজানার দেওয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.