ছাত্রদল নেতা টিংকু ফের গ্রেপ্তার

0

সিটিনিউজবিডি : এক মাসের মাথায় সাবেক ছাত্রদল নেতা টিংকু দাশকে কারাফটক থেকে ফের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জুন) সকাল ১১টার দিকে জামিনে মুক্তির পর তাকে পুলিশ আটক করে কোতয়ালি থানায় নিয়ে গেছে।

এ নিয়ে চতুর্থবারের মত টিংকু দাশকে কারাফটক থেকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গত ৭ জুলাই তাকে তৃতীয় দফায় গ্রেপ্তার করেছিল কোতয়ালি থানা পুলিশ।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনিরুল ইসলাম জানান, টিংকু দাশের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে পাঁচটি মামলা ছিল। সব মামলার জামিন আদেশ আসার পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

কোতয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, টিংকু দাশকে আটক করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোন মামলায় তাকে এখনও গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। আপাতত আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।

২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানা পুলিশ নগরীর ফরেস্ট গেইটের সামনে থেকে টিংকুকে গ্রেপ্তার করেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দশম সংসদ নির্বাচনের পরদিন ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে নগরীর নাসিরাবাদে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকায় হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিল থেকে লেগুনা নামের একটি হিউম্যান হলারে পেট্রল বোমা ছুঁড়ে মারলে সেটিতে আগুন ধরে যায় এবং চালক মিতুল মিয়া দগ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জানুয়ারি ভোরে মিতুল চমেক হাসপাতালে মারা যান।

এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি সুজা মিয়া (৫০), নজরুল ইসলাম (৩০) ও ওসমান গণি (২৯) নামে বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ১৫ জানুয়ারি নজরুল ও ওসমান আদালতে পেট্রল বোমা ছুঁড়ে চালক হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা জানায়, ঘটনার দিন তারা টিংকু দাশের নেতৃত্বে মিছিল বের করেছিল এবং টিংকু তাদের পেট্রল বোমা ছুঁড়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টিংকু দাশ ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন নগর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। নগরীর পাহাড়তলী কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তার নাম শীর্ষ ছাত্রদল ক্যাডার হিসেবে নগর পুলিশের তালিকায় স্থান পায়।

সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে প্রায় এক দশক বিএনপির রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও নগর বিএনপির শীর্ষ এক নেতা আন্দোলনের জন্য তাকে আবারও দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় করেছিলেন বলে সূত্র জানায়।

হরতাল-অবরোধে চোরাগোপ্তা হামলা, ঝটিকা মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুরসহ বিভিন্ন নাশকতায় টিংকু দাশ ও তার অনুসারীদের ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও পুলিশের কাছে তথ্য আছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.