রোহিঙ্গা ইস্যু: শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ

0

সিটিনিউজ ডেস্ক::মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে বড় ধরনের একটি সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ আমরা চাই না। একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
এতে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস এতে বক্তব্য দেবেন।

এর একদিন আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ঢাকায় নিযুক্ত অস্থায়ী ১০টি রাষ্ট্রের মধ্যে ৯টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিতি ছিলেন।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, বৈঠক থেকে এমন একটা ব্যবস্থা করা হবে যাতে করে রোহিঙ্গারা নির্বিঘ্নে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হবে এবং প্রস্তাব দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হবে এবং প্রস্তাব দেয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। এটাই মূলত মূল প্রস্তাব। সেটাকেই আবার সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হবে।

মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আমরা মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বাংলাদেশে আসতে রাজি হয়েছে। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ চায়। প্রধানমন্ত্রী দেশে আসলে সে বিষয়টা দেখা যাবে। প্রয়োজনে তারা আবার আসবে।

মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যাদের এদেশে দূতাবাস আছে সেসব দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের সবার বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। এ ছাড় আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গাদের সেদেশে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু সেখানে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। মিয়ানমারের সাথে আমরা ২০১২ সালে সীমানা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের অধিকার আদায় করেছি। এখনও আমরা সেটারই চেষ্টা করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.